প্রকাশিত: ০৮/১২/২০২১ ৯:৫৩ এএম

মন্ত্রিত্ব হারানোর পর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় ডা. মুরাদকে। তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে সুপারিশ করবে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ বলে জানা গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দলের প্রাথমিক সদস্যপদও হারাতে পারেন তিনি। সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে দুভাবে প্রার্থী হতে পারেন। নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রার্থী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী। কোনো ব্যক্তি ওই দল থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর দল থেকে পদত্যাগ করলে সংবিধান অনুযায়ী তার সংসদ সদস্য পদ থাকে না। ডা. মুরাদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে জামালপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও একই আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি।

সংবিধানে যা আছে: সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে। কিন্তু দল যদি কাউকে বহিষ্কার করে সেক্ষেত্রে কী হবে— সংবিধানে সেটি উল্লেখ নেই। তবে, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে কোনো সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হইবে কিনা, সে সম্পর্কে কোনো বিতর্ক দেখা দিলে শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য প্রশ্নটি নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরিত হইবে এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।’
এর আগে ফেসবুক লাইভে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ের উদ্দেশ্যে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য এবং ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপকথনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী ও চিত্রনায়ক ইমনের সাথে অত্যন্ত অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।

পাঠকের মতামত

কঠোর নির্দেশনার পরও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা ছাড়ছে না ভোটের মাঠ

সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে কঠোর নির্দেশনা ...