
“শিশুদের আইনি অধিকার: অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পরবর্তী করণীয়” শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশু আইন ২০১৩ এর আলোকে আয়োজিত এ কর্মশালায় শিশু সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
সেভ দ্য চিলড্রেন-এর উদ্যোগে স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এ কর্মশালায় শিশু অধিকার রক্ষা ও আইনের প্রয়োগ বিষয়ক নানা বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং করণীয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
কর্মশালার প্রধান অতিথি এবং সেশন ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, “শিশুদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শিশু আইন ২০১৩ একটি দৃঢ় ভিত্তি। তবে মাঠপর্যায়ে আন্তরিক বাস্তবায়নই এর সফলতার চাবিকাঠি।” তিনি আরও বলেন, “শুধু আইন থাকলেই হবে না, শিশুদের প্রতি আমাদের মনোভাব হতে হবে যত্নশীল ও সহানুভূতিশীল। আইন যেন তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়, সেটাই হওয়া উচিত আমাদের লক্ষ্য।”
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী ও সহকারী জজবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশের চাইল্ড অ্যাফেয়ার্স অফিসার, সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা শিশুদের মামলার পরিচালনায় তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বিচার বিলম্ব, সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি, শিশু-সংবেদনশীলতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা এবং জাতীয় নীতিমালার সঙ্গে কাজের সামঞ্জস্য নিয়ে মতবিনিময় করেন।
সেভ দ্য চিলড্রেন–এর সিনিয়র ম্যানেজার (শিশু সুরক্ষা) ফিরোজ মোস্তফা বলেন, “শিশুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে দরকার অধিকারভিত্তিক কার্যকর পদ্ধতি। পারস্পরিক সহযোগিতা এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের মাধ্যমেই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব।”
কর্মশালায় প্রশাসনিক ও বিচারিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করে শিশুদের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে এবং কক্সবাজারে ২০১২ সাল থেকে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার নানা প্রকল্প পরিচালনা করছে।
পাঠকের মতামত