প্রকাশিত: ০৪/১২/২০২১ ৬:৫৩ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
লুটপাটের শঙ্কার মধ্যেই কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন ইজিপিপি ৪৫ টি প্রকল্পের কাজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে।

উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া কবরস্থানের পাশ হইতে দূর্যোগ ব্যাপস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রালয়ের অর্থায়নে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ, এ সময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, মোঃআল মামুন, ইউপি সদস্য মোঃ সালাউদ্দিন, টেক অফিসার মেহেদী হাসান ও উপ-প্রকোশলী মেহেদী হাসান এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ গণ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়,এবার ২০২১-২০২২ সালের দূর্যোগ ব্যবস্তাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রালয়ের অর্থায়নে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ৪৫ টি গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য জালিয়াপালং ইউনিয়নে ৮ শত ২৬ জন, পালংখালী ইউনিয়নে ১৬ শত ১৬ জন, রত্নাপালং ইউনিয়নে ৪ শত ৬৫ জন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে ১১ শত ৯৩ জন ও রাজাপালং ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৯ জন দৈনিক জনপ্রতি ৪ শত টাকা মজুরিতে ৫ হাজার ১ শত ৫৯ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। তারা ৫৮ দিন কাজ করতে পারবেন। শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হবে মোবাইল ব্যাংক কিং এর মাধ্যমে মজুরির টাকা পেয়ে যাবেন।

স্থানীয় সচেতন মহলের মতে কর্মকর্তা ও টেক অফিসাররা নীতি কথা বললেও উখিয়া উপজেলার কর্মসৃজন কর্মসূচী নিয়ে অতীত ইতিহাস ভালো নয়। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ইতিপূর্বে কর্মসৃজন নিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি হয়েছে। এমনকি অতীতে উখিয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পের উপকারভোগী দরিদ্রদেরকে না দিয়ে সরকারী বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকা লুটপাট ও আর্থসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক বাদী হয়ে সরকারী কর্মকর্তা সহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়েরও হয়েছে। তাই এবারের কর্মসৃজন কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে শঙ্কা কাজ করছে সাধারণ জনগণের মাঝে।
অনেকের মতে, অতীত ইতিহাস বদলে নতুনভাবে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে এলাকাবাসী প্রকৃত হবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, লুটপাটের কোনো সুযোগ নেই, এবার তদারকি বৃদ্ধি করা হবে, পাশাপাশি সুশিলন নামের একটি এনজিও কাজের তদারকি করবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত এর জন্য এবার মোবাইল ব্যাংকিং নগদ এর মাধ্যমে উপকারভোগীদের টাকা দেওয়া হবে। তাই যার টাকা সে পাবে। একজনের টাকা আরেকজন নেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...