উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪/০১/২০২৩ ৪:৪৭ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির পর অস্ত্র ও গুলিসহ দুই জঙ্গি নেতাকে আটকের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের এক সদস্য বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ সাতজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি টান্টু সাহা।

আসামিরা হলেন- জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদ এবং তার সহযোগী আবুল বাশার ওরফে আলম।

গতকাল সোমবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকে জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র এক শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছে খবরে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক স্থানে পৌঁছালে র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের সন্দেহজনক ৮ থেকে ১০ জন লোক দৌড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির পর র‍্যাব সদস্যরা দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

ওসি টান্টু বলেন, সোমবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে র‍্যাব থানায় হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার সকালে র‍্যাবের এক সদস্য বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযানস্থল উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকায় হলেও অস্ত্র উদ্ধার এবং জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতারের ঘটনাস্থল বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন বলেন ওসি।

তিনি জানান, সকালে মামলাটি নথিভুক্ত করার পর গ্রেফতারদের বান্দরবান আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...