প্রকাশিত: ০৪/০৯/২০১৯ ৮:২৪ পিএম

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ইরানের সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশে সফরত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ জাতীয় সংসদে স্পিকারের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে স্পিকার এ প্রত্যাশার কথা জানান।

২০১৪ সালে নিজের ইরান সফরের স্মৃতিচারণ করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘকালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নে দুই দেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক।

এ সময় বাণিজ্যের প্রসার, জ্বালানি, ওষুধ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি, বিশেষ করে সফটওয়্যার খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে। সমুদ্র অর্থনীতি এক নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের নাগরিকদের জন্য আমাদের এ সম্পদ ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে এর টেকসই ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হতে হবে।

এ সময় তিনি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে টেকসই সমুদ্র অর্থনীতিকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ ঢাকায় শুরু হওয়া ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

স্পিকার আরো বলেন, সোনালী আঁশ পাট বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ। সোনালী আঁশ পরিবেশ বান্ধবও বটে। বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে পাটজাত পণ্য রফতানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব পাট পণ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

বাংলাদেশ ও ইরান ইসলামী দেশগুলোর পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (পিইউআইসি) সদস্য। সে ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন স্পিকার।

এ সময় তিনি সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির বিশাল সম্পদ কাজে লাগিয়ে এদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। ওষুধ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি, বিশেষ করে সফটওয়্যার খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইরানের বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হবে।

জাভাদ জারিফ বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য আমদানিরও আগ্রহ প্রকাশ করেন এ সময়।

এ সময় ইরানের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এবং বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী/দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তি’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ...