প্রকাশিত: ২৯/১১/২০২১ ৯:০৬ এএম

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিং আং হ্লাইং ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগ আমলে নিয়েছে আর্জেন্টিনার একটি আদালত। এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তকর্তাদেরকে গণহত্যার দায়ে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।

রবিবার (২৮ নভেম্বর) বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশনের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) আর্জেন্টিনার ফেডারেল ক্রিমিনাল কোর্ট নিশ্চিত করে যে ‘সর্বজনীন বিচারিক নীতির’ আওতায় মিয়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে এই মামলা পরিচালিত হবে। এর আগে ২০১৯ সালে বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন আদালতের কাছে এ বিষয়ে মামলা পরিচালনার আবেদন করে। দুই বছর ধরে বিষয়টি বিবেচনার পর মামলা পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলো আদালত।

২০১৯ সালে আবেদন পাওয়ার পর থেকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে আর্জেন্টিনার আদালত। এরমধ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের গোটা বিষয়টি নিয়ে মামলা হবে আর্জেন্টিনায় এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের মামলা পরিচালনা করবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট।

আর্জেন্টিনার আদালত তার বক্তব্যে বলেছে, বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এত বেশি পরিমাণ হয়েছে যে, আর্জেন্টিনাতে এই মামলার তদন্ত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে মিয়ানমার সরকার। ২০১৭ সালে গণহত্যার মাধ্যমে আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর যে নিপীড়ন চালানো হয়েছে এবং হচ্ছে, সেটির জন্য যারা দায়ী, তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

প্রক্রিয়াটিকে একটি গেম চেঞ্জার হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘রাখাইনে যে গণহত্যা হয়েছে, সেটির দাবি আরও জোরালো হবে আর্জেন্টিনার আদঅরতের আগ্রহের ফলে।’

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এবং আর্জেন্টিনার কোর্টে রোহিঙ্গা নিয়ে মিয়ানমার শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মামলা বা তদন্ত চলমান আছে। এর মাধ্যমে পূর্ণ অধিকার নিয়ে রোহিঙ্গারা আবার রাখাইনে ফেরত যেতে পারবে বলে মনে করেন এই সাবেক পররাষ্ট্র সচিব।

পাঠকের মতামত