নিউজ ডেস্ক: মিয়ানমার বাহিনীর হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে উগ্রবাদী শক্তি আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও কলকাতায় নিযুক্ত উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ কলকাতার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বলেছেন, পাকিস্তান আমাদের পেছনে লেগে রয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যেও উগ্রবাদী শক্তি আছে বলে আমি মনে করি। তাই পাকিস্তান রোহিঙ্গাদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে।যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে পাকিস্তান মেনে নিতে পারছে না। আমাদের অগ্রগতি সুনজরে দেখছে না। অথচ পাকিস্তান আমাদের চেয়ে পিছিয়ে। আমাদের জিডিপি হার যেখানে ৭ দশমিক ২ আর পাকিস্তানের সেখানে ৫ দশমিক ২। অন্যদিকে আমাদের গড় আয়ু যেখানে ৭১ বছর, পাকিস্তানের সেখানে গড় আয়ু ৬৭ বছর। আবার শিক্ষার দিক থেকেও পিছিয়ে পাকিস্তান। আমাদের শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ আর পাকিস্তানের ৫৮ শতাংশ। তাই আমাদের বিরোধিতা করে পার পাচ্ছে না পাকিস্তান, বরং পিছিয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রকল্প থেকে সরে গেলেও আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে তৈরি করছি পদ্মা সেতু। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জকে বাস্তবায়িত করছে বাংলাদেশ সরকার। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণকাজ ৫২ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি হয়ে গেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে আমাদের দুই দেশকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। কারণ, দুই দেশেরই এটা অভিন্ন শত্রু।
তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে বলেন, আমরা এখনো আশাবাদী তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় আশ্বাস দিয়ে এসেছেন তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হবে। আমরা আশাবাদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়াবেন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।
শীর্ষ নিউজ/