উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯/০১/২০২৩ ৮:০৪ এএম

বাংলাদেশে সফররত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিজ চোখে দেখে গেলেন মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের হালহকিকত। রোববার (৮ জানুয়ারি) দিনভর কক্সবাজারে ছিলেন তারা। তারমধ্যে বেশিরভাগ সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনেছেন। এছাড়া রোহিঙ্গাদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন এই প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে ছিলেন ৯ ঘণ্টারও বেশি সময়। এরমধ্যে ৫ ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় কেটেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এসময় রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গেও তারা কথা বলেন।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন জানান, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধি দলটির সদস্যরা ক্যাম্পে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে তারা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ছেড়ে যান।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র পরিচালক আইলিন লাউবাচার, বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক ব্রায়ান লুটি এবং শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশের জন্য নিযুক্ত স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তা স্কট আরবম। এছাড়াও আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো, ইউএসএআইডি বিএইচএ বাংলাদেশের উপ-পরিচালক কেনেথ হাসন, সহকারী আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাথালি হান, উদ্বাস্তু সহকারী ইসতিয়াক আহমেদ, ফরেন সার্ভিস ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটর শেখ শিবলী, অডিও ভিডিও টেকনিশিয়ান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রবার্ট রেবেইরো সঙ্গে ছিলেন।

২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও রোহিঙ্গারা এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রোহিঙ্গারা আশার ছয়বছরে পা দিলেও একজন রোহিঙ্গাকেও এখনও তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা যায়নি। বাংলাদেশ সরকার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

পাঠকের মতামত

লাইসেন্সের কোন কাজ নেই, টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না!- উখিয়ার ব্যবসায়ী সাদ্দাম

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই কথিত লেভেল লাগিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারির পানি বিক্রি করেন উখিয়ার সাদ্দাম মটরসের স্বত্তাধিকারী ...