ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২/১০/২০২৫ ৮:৪৩ এএম

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নতুন আন্তর্জাতিক তহবিলের দাবি তুলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দাবি করেছে, তারা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অংশীদার দেশগুলোর কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে।

 

তবে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার ফলে এই নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর সংকট আরও বেড়েছে। এ তথ্য পাওয়া গেছে এবিসি নিউজের হাতে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি থেকে। সে অনুযায়ী, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই অংশীদার দেশগুলো থেকে ৬৪.৬ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। মন্ত্রণালয় একে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘বিশ্বজুড়ে মানবিক সংকটে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ বলে বর্ণনা করেছে।

 

মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ১১টি দেশ- যার মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, জাপান, কাতার, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডস- ২০২৫ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছরের তুলনায় ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করেছে।

 

তবে এই দেশগুলোর সহায়তা বৃদ্ধিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাব কতটা ছিল তা স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প প্রশাসন নিজেও সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নতুন তহবিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মার্চে ঘোষিত ৭৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তার পাশাপাশি আরও ৬০ মিলিয়ন ডলার যোগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তুলনামূলকভাবে, বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছর ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি অর্থ সহায়তা দেয়। যা সেই বছরের মোট আন্তর্জাতিক সহায়তার ৫০ শতাংশেরও বেশি।

 

মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে বারবার আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ায়। মিডিয়ায় যে বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে- যেন এই দায়িত্ব কেবল ট্রাম্প প্রশাসনের- তা পুরনো ও বিভ্রান্তিকর। বাস্তবতা হলো- অনেক দেশ, বিশেষত আঞ্চলিক অংশীদাররা, বারবার দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে।

 

এই পদক্ষেপটি এসেছে এমন সময় যখন বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, মিয়ানমারের একটি রোহিঙ্গা শিবিরে মার্কিন সহায়তা কমানোর ফলে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টমি পিগট এক বিবৃতিতে বলেন, এপি’র এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল, বিভ্রান্তিকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। সূত্র: এবিসি

পাঠকের মতামত

বিদেশে থাকা নাগরিকেরা ফিরতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে: মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

জান্তা শাসনামলে মিয়ানমারের যেসব নাগরিক দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যত্র চলে গেছেন, তাঁরা চাইলে আবার ...

মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চলমান ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ (টিপিএস) বাতিলের ...

শান্তি চুক্তিতে রাজি না হলে ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির কাঠামোতে সম্মত না হলে কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য ...