প্রকাশিত: ০৮/০৫/২০২২ ৯:২৪ এএম

সাগরপাড়ে হঠাৎ চার শতাধিক রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীর জমায়েত করার ঘটনায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আশ্রয় শিবিরগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সড়ক পথের চেকপোস্ট গুলোতেও রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের ঝাঁক বেঁধে কক্সবাজার সাগরপারে পাঠানোর ঘটনায় আশ্রয় ক্যাম্পে পুলিশের কড়াকড়ি দেখে শুক্রবার গভীর রাতে মুন্না গ্রুপ ও আরসা গ্রুপের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ৪৭৩ রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কিছু সংখ্যক এতিমের মা-বোনকে নগদ টাকা দেয়ার কথা বলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ তাদের আটক করে ওইদিন রাতে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়। মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ হয়ে এসব রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পের বাইরে যাবার সুযোগ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আর্মড পুলিশের বিরুদ্ধে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশকে এ বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করেছে। পাঁচশ’ রোহিঙ্গা কিভাবে ক্যাম্প ছেড়ে বের হয়-তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আশ্রয় শিবির থেকে কোন রোহিঙ্গাকে বাইরে না যাওয়ার ওপর কড়াকড়ি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজুয়ান হায়াত সাংবাদিকদের বলেন, আশ্রয় ক্যাম্প থেকে কোন রোহিঙ্গাকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ না দিতে পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর্মড পুলিশের কড়াকড়ির কারণে রোহিঙ্গা দোকানিরা দোকান খোলতে না পেরে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের চাঁদা দিতে পারছেনা। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ছাত্রদের পাঠানোর কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করছে ক্যাম্পে ঘাপটি মেরে থাকা বিভিন্ন গ্রুপের ক্যাডার। এ বিষয়টিকে ঘিরে শুক্রবার গভীর রাতে উখিয়ার ৬নং ক্যাম্পে মুন্না গ্রুপ ও আরসা গ্রুপের ক্যাডারদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। রোহিঙ্গা ডাক্তার ফয়সাল আহমদ জানান, ক্যাম্প ছেড়ে পার্শ্বস্থ বাজারেও যেতে দেয়া হচ্ছেনা রোহিঙ্গাদের।

সাধারণ রোহিঙ্গারা জানায়, ক্যাম্পে, প্রধান ও উপসড়কে স্থাপিত চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকাকালীন রোহিঙ্গারা নিরাপত্তায় ছিল। সন্ত্রাসী বিভিন্ন গ্রুপ নিয়ন্ত্রণে ফের সেনাবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব দেয়ার জন্য স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্যাম্পে আশ্রিত সাধারণ রোহিঙ্গারাও দাবি জানিয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ বলছে, কক্সবাজারে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধে জড়িত রোহিঙ্গারা। তারা ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে এসে ছিনতাই ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধ করে যাচ্ছে। পরবর্তীতে তদন্তে নেমে এই অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত এপ্রিল মাসে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে বের হয়ে আসা সহস্রাধিক রোহিঙ্গাকে আটকের পর ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সুত্র: জনকণ্ঠ

পাঠকের মতামত

১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ ...

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...