উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭/১১/২০২২ ৯:৩৯ এএম

রোহিঙ্গাকে ভোটার হতে সহায়তা করায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান ও পরিষদের সচিব মিলন বিশ্বাসসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন-কচ্ছপিয়া ফকিরাকাঠার (৬নং ওয়ার্ড) এজাহার মিয়ার ছেলে মোরশেদ, তুলাতলির (৯নং ওয়ার্ড) জসিম ও আটক রোহিঙ্গা আব্দু শুক্কুর বিন দিল।

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও স্টেশন থেকে ২৪ অক্টোবর অবৈধ পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধন সনদসহ এক রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। আটক রোহিঙ্গা আব্দু শুক্কুর বিন দিল, তার বাবা দিল মোহাম্মদ ও মা ছলিমা খাতুনসহ পরিবারের সবাই উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধন সনদে তার ঠিকানাস্থলে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীরকাটা উল্লেখ করা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা ঈদগাঁও থানার এসআই কাজী গোলাম মহিউদ্দিন জানান, আটক রোহিঙ্গা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে ২০০৮ সালে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গমন করেছিল। মালয়েশিয়া থাকাকালীন কচ্ছপিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিষদ সচিবসহ বাকি আসামিদের সহায়তায় ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে জন্ম সনদ ও পাসপোর্ট তৈরি করেছে বলে স্বীকার করে। পাসপোর্ট তৈরি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশে আসে। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিলন বিশ্বাস জানান, আটক রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন আগে থেকে অনলাইনে নিবন্ধিত রয়েছে, যার কারণে আমরা সনদে স্বাক্ষর করেছি।

কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান বলেন, কোনো রোহিঙ্গা নাগরিককে সহায়তা করিনি আমি। ইউপি ওয়ার্ড সদস্যরা রোহিঙ্গা নয় নিশ্চিত করার পরই প্রত্যয়নপত্রে সই করি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজ জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনো অবগত নন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে কচ্ছপিয়ার তিতারপাড়ার (২নং ওয়ার্ড) সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে জাল জন্মসনদ প্রদানসহ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

পাঠকের মতামত