উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকায় নিজ মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবা-ভাইসহ পুরো পরিবারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ছয়জন।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী নাজমুন নাহার নিঝুম ইলিয়াছ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ মিঠাছড়ির কাইম্মার ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সন্ত্রাসীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় এবং মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অনুজ ভট্টোর ছত্রছায়ায় থেকে থানায় মামলা না করতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী।
আহতরা হলেন- রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির কাইম্মার ঘোনা এলাকার মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে ফজল আহমদ (৭০), তার ছেলে মো. উল্লাহ (২৬) ও হাবিব উল্লাহ (২৮) পুত্রবধূ মনোয়ারা বেগম (২২), প্রতিবেশী কলেছ ছাত্র নুরুল আমিন (২৮) ও কলেজ ছাত্র জমির উদ্দিন (১৮)।
স্কুলছাত্রী নিঝুম জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তাকে ইভটিজিং করে আসছিল স্থানীয় প্রভাবশালী আবছার কামাল। বুধবার কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার সময়ও তাকে প্রকাশ্যে সবার সামনে উত্ত্যক্ত করে। এ সময় সে ও তার বাবা ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে। ওই দিন রাতে আবছার ৪-৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে জোর করে তার রুমে ঢুকে শারীরিকভাবে নাজেহালের চেষ্টা করে। তখন তার ও পরিবারের অন্য সদস্যদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও আবছারকে ধরে ফেলে আটক করে রাখে। আটকের ঘটনায় আবছারের পরিবার ও তার সহযোগীরা নিঝুমের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। প্রতিবেশীদের পরামর্শে ভয়ে আবছারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিঝুম আরো জানায়, পরদিন বৃহস্পতিবার মাগরিব নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় তার বাবাকে আবছার ও অন্য সন্ত্রাসীরা কোপাতে থাকে। বাবার চিৎকার শুনে সে নিজে ও পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা সবাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ ঘটনায় মামলা না করতে বিভিন্নভাবে তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানায় নিঝুম।
ইলিয়াছ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মইনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। আজ (শুক্রবার) স্কুল বন্ধ থাকায় কাল শনিবার একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের পক্ষে স্কুলের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। যদি লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।