প্রকাশিত: ১৯/০১/২০১৯ ৮:০৪ এএম

নিউজ ডেস্ক::‍‍
মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির ফাঁদে পড়ে হামলার শিকার হয়ে দেশটির সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ছয় সদস্য আহত হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ান জেনারেল জাউ লিন টুন এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে আরাকান আর্মির মুখপাত্র বুধবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের কথা অস্বীকার করেছেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এখবর জানিয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। মিয়ানমারের কয়েকটি রাজ্যে সেনাবাহিনী অস্ত্রবিরতি ঘোষণা দিলেও রাখাইন ছিল এর আওতা বহির্ভূত। অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই রাখাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৪ জানুয়ারি রাখাইনে সীমান্ত চৌকিতে আরাকান আর্মির সদস্যদের হামলায় ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর থেকে ওই এলাকার পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত রয়েছে। প্রায়শই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ চলছে।

সেনা মুখপাত্র বলেন, একজন গুরুতর আহত এবং বাকিরা সামান্য আহত হয়েছে। মংডু শহরের কাইয়ি কান পুইন গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এখানে বিজিপির একটি ফাঁড়ি রয়েছে। এই গ্রাম সীমান্তের কাছে না। বুধবার দুপুরে সড়ক পথে বিজিপির একটি গাড়ি চলাচলের সময় ফাঁদে পড়ে। পরে সেখানে বন্দুকযুদ্ধ হয়।

আহত ছয় সদস্যকে ইয়াঙ্গুনে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান মুখপাত্র।

তবে আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, বুধবার মংডুতে কোনও সংঘর্ষ হয়নি। কিন্তু বামার আর্মি ও বিজিপির মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিতে গোলাগুলি হয়েছে বলে শুনেছি।

যদিও বুধবার ১২ ও ১৮ বছর বয়সী দুই ভাই মর্টার শেলের আঘাতে আহত হয়েছে। মংডুতে ইয়ান অং মুইন গ্রামে কিশোরদের বাড়িতে এই মর্টার আঘাত হানে। এই গ্রামের কাছেই গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।

এই ঘটনার তিনদিন আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে তিন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে। রবিবার রাখাইনের বুথিয়াডং এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সোমবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়ে। স্থানীয়রা ইরাবতীকে জানিয়েছে, নিহতদের একজন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ভুক্ত। বাকী দুইজন আরাকান সম্প্রদায়ের হলেও তিনজনই ছিলেন নিরস্ত্র।

পাঠকের মতামত

আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রয়োজন: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত উত্তরণের পথ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ...

জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ...

জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। ...