প্রকাশিত: ১৯/০৩/২০১৯ ৭:২৯ এএম
ফাইল ছবি
Single Page Top

নিউজ ডেস্ক :

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ তদন্তে সামরিক আদালত গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। একজন মেজর জেনারেল ও দুই কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি রাখাইনে ২০১৭ সালে সংঘটিত রোহিঙ্গা নিধন নিয়ে তদন্ত করবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। এমন বাস্তবতায় নিধনযজ্ঞের বলি হয়ে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় দশ লাখে। এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে।মিয়ানমার সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাংয়ের ওয়েবসাইটে এক সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে একটি তদন্ত আদালত গঠিত হয়েছে। জাতিসংঘ এবং অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ খতিয়ে দেখবে এই আদালত।গতবছর জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন অভিযোগ করেছিলো, ‘গণহত্যার উদ্দেশ্য’ নিয়েই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিলো সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক আইনের গর্হিত লঙ্ঘন অভিযোগ করে তারা মিন অং হ্লাংসহ আরও পাঁচজন জেনারেলের পরিবর্তনের সুপারিশ করে।
তবে মিয়ানমার অভিযানে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে। সর্বশেষ গতমাসে মিন অং বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য এই হত্যাকা-ে যুক্ত থাকতে পারে। এর আগে ২০১৭ সালে সামরিক বাহিনীর এক তদন্ত প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীকে নিন্দোষ বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক নিকোলাস বেকুইলিন বলেন, নতুন এই আদালত আরেকটি অশুভ বিশ্বাসের রণকৌশল। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের গর্হিততম লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তারপরও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেনাবাহিনীর নিজেদের বিষয়ে তদন্ত করার এই পরিকল্পনা ভ্রান্তিকর ও বিপদজনক।এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পায়নি রয়টার্স।আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই সহিংসতা জন্য প্রথামিক তদন্ত কমিটি খুলেছে। ফিলিপিনো কূটনীতিক রোজারিও মানালো এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক জাপানি রাষ্ট্রদূত কেনজো ওশিমাকে রয়েছেন এই কমিটিতে।

পাঠকের মতামত

Single Page Bottom

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি: এইচআরডব্লিউ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিগত ...

রয়টার্সের প্রতিবেদনমিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন

মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে ...

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ব্ল্যাকলিস্ট, তালিকায় এক ডজন দেশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ...
Single Page Footer