উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
টেকনাফ কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান। এটি এখন ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচারের জন্য নিরাপদ সড়ক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী টেকনাফ কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কে আইন শৃংখলা বাহিনীর একাদিক চেকিং ব্যবস্থা থাকার বিকল্প সড়ক হিসাবে মেরিন ড্রাইব সড়ককে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে আসছে। টেকনাফের সাবরাং খুরের মুখ থেকে কক্সবাজার কলাতলী পর্যন্ত দীর্ঘ মেরিন ড্রাইব সমূদ্র সৈকত সড়কে সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখলা বাহিনীর স্থায়ী কোন চেকপোষ্ট নেই। এ সুযোগকে পূঁজি করে টেকনাফের পেশাদার ইয়াবা ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা পর্যটকবাহীর গাড়ীর আড়ালে ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান সরাসরী পাচার হয়ে যাচ্ছে। যাহা নিয়ে সচেতন যাত্রীদের মধ্যে এসব তথ্য অকপটে বের হয়ে আসছে। যদিও সড়কের মধ্যে একটি বাহিনীর অস্থায়ী চেকপোষ্ট থাকলেও এটি নামে মাত্র। সাবরাং এর স্থাল ও নৌ-পথ দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা ও স্বর্ণের বেশিরভাগ চালান সমূদ্র সৈকত মেরিন ড্রাইব দিয়ে পাচার হয়ে যায়। গভীর রাত হলেই চলে ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচারের মহৌৎসব। গেল রমজা ও ঈদুল ফিতরের সময় শুধু এ অরক্ষিত সৈকত সড়ক দিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকার চেয়ে বেশী ইয়াবা ও স্বর্ণ টেকনাফ থেকে কক্সবাজার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে গেছে মর্মে লোকে মূখে শুনা যাচ্ছে। সূত্র জানায়, নাফ-নদীর পরিবর্তে এখন ইয়াবা এবং স্বর্ণ আসছে, সাগর পথে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুদেশের সাগরের জিরোপয়েন্ট ছদ্মবেশী জেলেদের মাধ্যমে হাতবদল হয়ে এসব মূল্যবান পণ্য কয়েকটি পয়েন্ট যেমনঃ- সাবরাং সাগর উপকূলীয় এলাকা, কাটাবনিয়া খুরেরমূখ, মুন্ডার ডেইল ঘাট, টেকনাফ সদর, রাজারছড়া, মহেশখালীয়া পাড়া ও লেংগুরবিল মৎস্য ঘাট দিয়ে নিরাপদে উঠে। পরে কৌশলে পর্যটক ভেসে এবং রিজার্ভ করা মাইক্রো, নোহা, সিএনজির আড়ালে ইয়াবা ও স্বর্ণ মেরিন ড্রাইব সড়ক দিয়ে পাচার হয়ে যায়। বিষয়টি প্রশাসন গুরুত্বের সাথে আমলে এনে চিন্তা করছে, এ সড়ক চেকপোষ্ট করা যায় কিনা? মনে হয় এজন্য গত ৩০ জুন টেকনাফ কক্সবাজার নব-নির্মিত মেরিন ড্রাইব সড়ক পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারবৃন্দ। এ সময় বিজিবি, পুলিশ, সরকারী উচ্চ প্রদস্থ কর্মকর্তা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।