
শফিক আজাদ,উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিতে বসবাসরত কিশোরী, যুবতীরা ইয়াবা পাচারের নিরাপদ বাহন হিসাবে পরিনত হয়েছে। পাচারকারী সিন্ডিকেট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ফাঁকি দেওয়ার জন্য রোহিঙ্গা যুবতী নারীদের দিয়ে ইয়াবা পাচার করায় ক্রমস ইয়াবা ব্যবসা দিন দিন বিস্তৃতি লাভ করছে। বেকার যুবতীরা ইয়াবা পাচারের সাথে স¤পৃক্ত হয়ে বেইশ্যাবৃত্তির সাথে জড়িয়ে পড়ার আশংখার পাশাপাশি স্থানীয় কিশোরী যুবতীরাও এ ব্যবসার সাথে জড়িত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন করে রোহিঙ্গা বস্তির ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান আবু ছিদ্দিক এ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন অভাবী, হতদরিদ্র পরিবারের রোহিঙ্গা যুবতীরা মোটা অংকের টাকার লোভে পড়ে ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ায় বস্তিতে ইয়াবা ব্যবসা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে যুবতী মেয়েরা অরক্ষিত হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন রোহিঙ্গারা। ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে অনেকেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হওয়ার ফলে কুতুপালং বস্তিতে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, মিয়ানমারের বুচিদং কুমিরখালী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বারীর পুত্র নূর হোছাইন চট্টগ্রাম বিলাশ বহুল হোটেলে অবস্থান করে ইয়াবা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করছে। তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রোহিঙ্গা ইব্রাহিম মরিচ্যা চেকপোষ্টের আশেপাশের গ্রামে ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান নিয়ে ইবার চালান যাতে নিরাপদে পৌছতে পারে সেই বিষয়ে সার্বক্ষনিক সড়কে অবস্থান করে থাকে। তার অপর সহযোগী রোহিঙ্গা নাগরিক কথিত লালু টেকনাফে অবস্থান করে মিয়ানমার হতে আসা ইয়াবার চালান নিরাপদে কুতুপালং বস্তিতে পৌছে দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে থাকে। কুতুপালং ক্যাম্প সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন পাচার করে থাকে রোহিঙ্গা জিয়াবুল হক। যে রেজিষ্ট্রার্ড না হয়েও কুতুপালং ক্যাম্প বাজারে একটি মার্কেটের ২য় তলায় ভাড়ায় বাসা নিয়ে ইয়াবা আদান-প্রদান করে থাকেন বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। এছাড়া ও জিয়াবুল রোহিঙ্গা বস্তিতে ইয়াবার চালান মওজুত করে পরবর্তীতে চুক্তি ভিত্তিক রোহিঙ্গা কিশোরী যুবতীদের ব্যবহার করে এসব ইয়াবার চালান কক্সবাজার চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে দিচ্ছে। বস্তিতে বসবাসরত ধর্মভিরু মৌলভী হাফেজ জালাল (৪৫) অভিযোগ করে জানান, ইয়াবা সিন্ডিকেটের কারণে যুবতী মেয়েদের ঘরে রাখা যাচ্ছেনা। তারা মা বাবার কথা অমান্য করে ইয়াবার চালান নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগ রোহিঙ্গা যুবতীদের অনুসরণ করে বর্তমানে স্থানীয় গ্রাম্য মহিলারা ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত হওয়ায় সামাজিক পরিবেশের দিন দিন অবনতি হচ্ছে। সম্প্রতি টিএন্ডটি এলাকায় যাত্রী বাহী গাড়ী থেকে স্থানীয় এক মহিলা যুবতীকে পুলিশ ইয়াবা সহ হাতেনাতে গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় অভিভাবক মহল উদ্ধিগ্ন। মরিচ্যা চেকপোষ্টে দায়িত্বরত বিজিবি’র নায়েক সুবেদর নজরুল ইসলাম যুবতীদের দিয়ে ইয়াবা পাচারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উখিয়া-টেকনাফের কিছু অসাধু ব্যক্তি রোহিঙ্গা যুবতীদের দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা,মাদকদ্রব্য এবং চোরাই মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে থাকে। তবে বিজিবি’ এসব চোরাইপণ্য এবং মাদকদ্রব্য, ইয়াবা আটক চেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছে।
পাঠকের মতামত