প্রকাশিত: ১৩/০৯/২০১৯ ৪:৩২ পিএম

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আর রাখা যাবে না, তাহলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরাধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।

তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা এখন আমাদের বিরাট সমস্যা হবে। অনেক দিন হয়ে গেল প্রায় ১২/১৪ লাখ রোহিঙ্গার দেখাশোনা করতে হচ্ছে। তারা এখন মাদক বিক্রি করছে। পাসপোর্ট করে বিদেশ যাচ্ছে। যদিও মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, এখন সময় হয়েছে তাদের চলে যাওয়ার। যেকোনোভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরে যেতে হবে। যেমন করেই হোক তাদের ফেরত পাঠাতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান বিরোধী দল সংসদে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলে দাবি করেন রওশন এরশাদ।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ মানুষ মধ্যেবিত্ত। গ্যাসের দাম বাড়ায় তাদের কষ্ট হয়। এছাড়া মানুষ নিজ দেশের জিনিসের বেশি দাম দিতে চায় না।’

রওশন এরশাদ বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রভাবে বাংলদেশের মানুষ বিপর্যস্ত। এমনভাবে বেড়ে গিয়েছিল তা বলার বাইরে। যদি আমরা নিজেরা সচেতন হতাম তাহলে মানুষদের বাঁচাতে পারতাম। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। আমাদের দেশটাকে পরিষ্কার রাখতে হবে। ময়লা যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

কিশোর গ্যাং সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এরা সন্ত্রাসী হচ্ছে। গুন্ডামি করছে। মাদক নিচ্ছে। মাদক এখানে সেখানে পৌঁছে দিচ্ছে। ওরা যদি গ্যাংয়ে রুপান্তরিত হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার। যারা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে তাদের আবার স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। শিশুশ্রম দূর করতে হবে।’

কূটনৈতিকদের অর্থনৈতিক কাজে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এর মাধ্যমে আরও অনেক জিনিস রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। এছাড়া পোষাক খাত আরও জোরদার করার পাশাপাশি বিদেশে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে।’

পাঠকের মতামত