উখিয়া নিউজ ডটকম::
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে হস্তান্তরের জন্য নতুন আরও একটি তালিকা তৈরি করছে সরকার। তালিকা তৈরি হলে এটি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মাদ আবুল কালাম বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা নতুন তালিকা তৈরির কাজ করছি।’ নতুন তালিকায় রোহঙ্গাদের সংখ্যা কত হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পাঁচ থেকে দশ হাজারের মধ্যে থাকবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সরকার ১ হাজার ৬৭৩টি পরিবারের ৮ হাজার ৩২ রোহিঙ্গার প্রথম তালিকা হস্তান্তর করা হয়। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৫৭০ রোহিঙ্গার নাম যাচাই-বাছাই করেছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গার নাম পরিবারভিত্তিক অনুমোদন করেছে কিনা, জানতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার বলেন, ‘এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখছি।’
এদিকে, বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য গঠিত দ্বিতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের জন্য একটি প্রস্তুতিমূলক সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক।
মোহাম্মাদ আবুল কালাম বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে দ্বিতীয় বৈঠক আগামী মাসে হবে। এজন্য আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমাদের অবস্থান তৈরি করছি।’ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে সরকারের চুক্তি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আশা করা যায়, আগামী সপ্তাহে স্বাক্ষরিত হতে পারে।’
জিরো লাইনে যে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে, তাদের বিষয়ে মোহাম্মাদ আবুল কালাম বলেন, ‘তারা এখনও মিয়ানমারে অবস্থান করছে। বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে না।’ রাখাইনে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনও কিছু দেখতে পাচ্ছি না।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।