প্রকাশিত: ২৪/০৫/২০২২ ১০:১০ এএম

অস্ত্র দিয়ে নয়—খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করে নীরবে রোহিঙ্গা জেনোসাইড বাস্তবায়ন করছে মিয়ানমার। এর মাধ্যমে দেশটিতে এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

আগামী মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে অবস্থানের এক দশক পূর্তি হচ্ছে। এর প্রাক্কালে রোহিঙ্গা জেনোসাইডের তথ্য-প্রমাণসহ একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক রোহিঙ্গাদের সংগঠন ‘বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন, ইউকে (ব্রুক)’। ব্রুক প্রেসিডেন্ট তুন খিন গতকাল গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানান।
তুন খিন বলেন, ২০১২ সালের জুনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের পর অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে কার্যত বন্দিশিবিরে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় খাবার না দিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপুষ্টি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্য মৌলিক চাহিদাগুলো থেকে বঞ্চিত করে রোহিঙ্গাদের জীবন হুমকিতে ফেলা হচ্ছে। মিয়ানমারের জান্তা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব করছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেওয়া এক অন্তর্বর্তী আদেশে রোহিঙ্গাদের জেনোসাইড থেকে রক্ষা করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেই আদেশ প্রতিপালন বিষয়ে আইসিজেতে গতকাল মিয়ানমারের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।

তুন খিন বলেন, ‘মিয়ানমার আইসিজেতে কী বলছে, সে বিষয়ে আমরা জানি না। কিন্তু আমরা বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি, মিয়ানমার রোহিঙ্গা জেনোসাইড বাস্তবায়ন করে চলেছে।’
ব্রুকের প্রতিবেদনে কী আছে, জানতে চাইলে তুন খিন বলেন, ‘মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন ও শিবিরে বন্দি করে রেখেছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। শিবিরগুলোতে বন্দি রোহিঙ্গাদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার ও পানি দেওয়া হচ্ছে না। ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের আশ্রয়, চিকিৎসা, স্যানিটেশনসেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আইসিজের অন্তর্বর্তী আদেশের পরও তারা এটি করছে। সুত্র: কালেরকন্ঠ

পাঠকের মতামত