উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩/১১/২০২২ ৭:১৩ এএম

চীন, রাশিয়া এবং ভারতের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েই নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী। করে যাচ্ছে একের পর এক মানবতা বিরোধী অপরাধ। সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতাদের একটি সংগঠন এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

আজ বুধবার আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) সহায়তায় ৮ জন আইনপ্রণেতার একটি দল ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আইনপ্রণেতারা বলেছেন, রাশিয়া, চীন এবং ভারত মিয়ানমারকে ‘অবিচল এবং সমালোচনাহীন’ মনোভাব নিয়ে এই সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে বিশেষ করে বেইজিং এবং মস্কোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন এমন এক সময়ে এল যখন আঞ্চলিক জোট আসিয়ান মিয়ানমারের জন্য একটি শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে। তবে দেশটি জোটের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
প্রতিবেদনে ওই আইনপ্রণেতার বলেছেন, যে দেশগুলো গণতন্ত্র সমর্থন করে তাদের অবিলম্বে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকারকে (এনইউজি) দেশটির বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এনইউজি ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর (এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনস–ইএও) জন্য তহবিল সরবরাহ করতে হবে—সে সংগঠনগুলো এনইউজির সঙ্গে জোট গঠন করেছে।

ওই প্রতিবেদনে তাঁরা আরও বলেছেন, এই পদক্ষেপগুলো জরুরি ভিত্তিতে নেওয়া উচিত। সামরিক অভ্যুত্থানের ১৯ মাস পরও সামরিক বাহিনী তার ক্ষমতা সংহত করতে পারেনি। মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ অংশে সেনাবাহিনী এনইউজি এবং অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সহিংস প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত। ক্রমাগত সহিংসতা দেশটির ‘অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে এবং একটি অভূতপূর্ব মানবিক সংকট’ ডেকে এনেছে।

আইনপ্রণেতারা তাঁদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, জান্তাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক নিন্দা দ্রুততর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে বিচ্ছিন্ন বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারপরও মিয়ানমারের অভ্যুত্থানকারী নেতা মিন অং হ্লাইং তার আন্তর্জাতিক মিত্র রাশিয়া, চীন এবং ভারতের সমর্থনে টিকে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই দেশগুলোর সরকার প্রদত্ত সমর্থন ও বৈধতা জান্তাকে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে এবং অভ্যুত্থানকে সংহত করতে ব্যর্থ হওয়ার পরও অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপব্যবহার চালিয়ে যেতে সক্ষম করে তুলেছে।’ মিয়ানমারের সামরিক সরকারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের (এসএসি) দিকে ইঙ্গিত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই সমর্থন ২০২২ সালে আরও তীব্র হয়েছে কারণ জান্তা সরকারের মিত্ররা ক্রমবর্ধমানভাবে মিয়ানমারে তাদের স্বার্থকে এসএসি–এর সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত করে বিবেচনা করেছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীন এবং রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আনীত যে কোনো কর্মপন্থার বিরুদ্ধে ভেটো দিয়ে বিষয়টি ভেস্তে দিয়েছে। কেবল তাই নয়, চীন এবং রাশিয়া ক্রমাগত মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। যেসব অস্ত্র প্রায়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...