মিয়ানমারে ধর্মঘটের পর এবার ব্যতিক্রমধর্মী বিক্ষোভ করেছে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ইয়াঙ্গুনে জান্তা সরকারের জন্য সারি সারি ফুলের তোড়া রেখে নীরব প্রতিবাদ জানান আন্দোলকারীরা। স্মরণ করা হয় অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতদের।
একই দিন দেশটির মান্দালে শহরের রাজপথে নামেন কয়েকশ’ স্বাস্থ্যকর্মী। এ সময় অ্যাপ্রোন পরে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে জান্তাবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা। গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানান আন্দোলকারীরা। এদিন ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কয়েকটি শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নামে হাজার মানুষ। মধ্যাঞ্চলীয় টাউনগি শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে মিয়ানমারের বর্তমান সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া। জাকার্তায় যৌথ সংবাদ সম্মেলে অবিলম্বে মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইন্দোনেশিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি খুব উদ্বেগজনক। দেশটির সেনাবাহিনী যা করছে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের পাশাপাশি দেশটিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।’
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাক্রিসনানা বলেন, ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুর উভয় দেশই অন্য কোনো রাষ্ট্রে হস্তক্ষেপ চায় না। কিন্তু আসিয়ানভুক্ত দেশ হিসেবে সদস্য দেশকে যে কোনো সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমরা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩০০ মানুষ। এমন বাস্তবতায় অভ্যুত্থান ও সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।