ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮/০৫/২০২৩ ৯:৫৭ এএম

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ২০২১ সালে উৎখাতের পর থেকে মিয়ানমার কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র ও অস্ত্র-সামগ্রী আমদানি করেছে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের প্রধান রেপোটিয়ার।

বুধবার টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘রাশিয়া ও চীন হচ্ছে উন্নত ধরনের অস্ত্র সরবরাহের প্রধান উৎস এবং তারা অভূত্থানের পর থেকে যথাক্রমে ৪০ কোটি ও ২৬ কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং অধিকাংশ বানিজ্যই হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে।’ খবর ভয়েস অব আমেরিকার

জাতিসংঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাশিয়ার সরবরাহকারীরা যে অস্ত্র দিয়েছ তা মিয়ানমারে সম্ভবত যুদ্ধ অপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই সব অস্ত্র এবং আরও অস্ত্র তৈরি করার সামগ্রীগুলো অব্যাহত ভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে আসা অব্যাহত রয়েছে যদিও তাদের তরফ থেকে নির্মম অপরাধ চালানোর প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।’

২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী এই অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখল করে যে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ওই নির্বাচনে সংসদের ৪৯৮টি আসনের মধ্যে তাদের দলটি মাত্র ৩৩ টি আসনে জয়লাভ করেছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর বলছে সেই থেকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য অন্তত তিন হাজার বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছে। সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে এবং দশ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, দেশটিতে অন্তত ১ কোটি ৭৬ লাখ লোকের প্রয়োজন মানবিক সহায়তা।

জাতিসংঘের প্রধান রেপোটিয়ার ‘বিলিয়ন ডলারের মরণ বানিজ্য: আন্তর্জাতিক অস্ত্র নেটওয়ার্ক যা মিয়ানমারে মানবাধিকার লংঘন করতে সাহায্য করছে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সরকারি ও ব্যক্তিগত উভয় সূত্র ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বানিজ্যিক তথ্য-উপাত্ত যা সাড়ে ১২ হাজরের বেশি বিশেষ ধরনের ক্রয়কে চিহ্নিত করেছে কিংবা একাধিক সূত্র থেকে সরাসরি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কিংবা সামরিক বাহিনীর পক্ষে কাজ করছে এমন অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে জাহাজে চালানের ব্যাপারে তথ্য পেয়েছে।

যেসব নেটওয়ার্ক ও কোম্পানিকে তিনি এই অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে চিহ্নিত করেছেন সেগুলো রাশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভারতের সঙ্গে কাজ করে থাকে।

পাঠকের মতামত