
‘আমরা শরণার্থী জীবন চাই না। নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই। আমাদের দাবিগুলো পূরণে মিয়ানমার যাতে বাধ্য হয়, সে জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুর তিনটার দিকে বিশ্ব শরণার্থী দিবস সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ‘নো মোর রিফিউজি লাইফ’ কর্মসূচির আওতায় মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন রোহিঙ্গা নেতারা। এছাড়া উখিয়ার বালুখালী ১২ নম্বর আশ্রয় শিবিরে কয়েকটি শিবিরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারী, শিশু-কিশোরসহ হাজারো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকজন বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়। সমাবেশে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে মাঠে তৎপর ছিল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কুতুপালং সমাবেশে বক্তব্য দেন উখিয়া কুতুপালং-এর নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের চেয়ারম্যান আবদুল মাজেদ, অ্যাক্টিভিস্ট ইউনুছ আরমান ও নারী নেত্রী আজমা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে অ্যাক্টিভিস্ট ইউনুছ আরমান বলেন, মিয়ানমার আমাদের দেশ। আমরা নিজের দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা নিবিন্ধত রোহিঙ্গা হিসেবে ৩৪ বছর উদ্বাস্তু জীবন পার করছি। আমরা আর শরণার্থী জীবন চাই না। বিশ্বের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে দ্রুত আমাদের একটা সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করে দেওয়া হয়।
রোহিঙ্গা কমিটি ফর পিস অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন (আরসিপিআর) নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, আমরা এই শরণার্থী জীবন আর চাই না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের দাবিগুলো মানতে মিয়ানমারকে বাধ্য করে স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করুন। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এবং এই দেশের আইন মানতে রোহিঙ্গাদের প্রতি অনুরোধ জানাই।
১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সিরাজ আমীন বলেন, দুপুরের পর আমার এলাকার কয়েকটি শিবিরে বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজন রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করেছে। তারা (রোহিঙ্গারা) নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার দাবি বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে।
পাঠকের মতামত