আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭/১০/২০২৫ ৬:৫২ এএম

সামরিক শাসিত মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। কারণ এই নির্বাচন থেকে কোনও বিশ্বাসযোগ্য ফলাফল আসার সম্ভাবনা খুবই কম। কুয়ালালামপুরে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সংবাদিকদের এমন মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কাইসা অলঙ্গরেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সমালোচকরা বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে শুরু হতে যাওয়া এই নির্বাচন আসলে একটি প্রহসন। নির্বাচনের উদ্দেশ্য হলো ২০২১ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর মিয়ানমার জান্তার শাসনকে বৈধতা দেওয়া। সমালোচকদের মধ্যে বহু পশ্চিমা দেশও রয়েছে।

অলঙ্গরেন বলেন, মিয়ানমারে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ হয়নি। পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিও ফলাফলে কোনও পার্থক্য আনবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি একে ‘শাসন-স্পন্সরকৃত’ নির্বাচন বলব। আর যদি এটি শাসন-স্পন্সরকৃত হয়, তাহলে এর ফলাফলও একটাই হতে পারে।’
কুয়ালালামপুরে নির্বাচিত কিছু গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অলঙ্গরেন এই মন্তব্য করেন।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে, যা একটি সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্ম দেয় এবং এই বিদ্রোহীরা দেশজুড়ে বিশাল এলাকা দখল করেছে।

জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং বুধবার স্বীকার করেছেন যে সামরিক-সমর্থিত প্রশাসন আসন্ন সাধারণ নির্বাচন পুরো দেশজুড়ে আয়োজন করতে সক্ষম হবে না। এটি ছিল তার প্রথম প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি যে, এই নির্বাচন সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে না।

পাঠকের মতামত

বিদেশে থাকা নাগরিকেরা ফিরতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে: মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

জান্তা শাসনামলে মিয়ানমারের যেসব নাগরিক দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যত্র চলে গেছেন, তাঁরা চাইলে আবার ...

মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চলমান ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ (টিপিএস) বাতিলের ...

শান্তি চুক্তিতে রাজি না হলে ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির কাঠামোতে সম্মত না হলে কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য ...