ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৭/০৪/২০২৩ ৭:১৩ এএম

ইয়াবার পর এবার মিয়ানমারের কারখানায় উৎপাদিত ভয়ংকর মাদকদ্রব্য ক্রিস্টাল মেথ আইস আসছে দেশে। যা সীমান্ত পেরিয়ে মাদককারবারিদের হাত ধরে এসব আইসের চালান ঢুকছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সারাদেশে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উখিয়া সীমান্তে দেশে সর্ববৃহৎ ২১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইসের চালান জব্দের পাশাপাশি ৩ জনকে আটকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে বিজিবি। আর আগামী মাসে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধের বিষয়টিও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে আলোচনা হবে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ইয়াবার কারখানার পাশাপাশি গড়ে উঠেছে ভয়ংকর মাদকদ্রব্য ক্রিস্টাল মেথ আইসের কারখানাও। মিয়ানমার থেকে সীমান্ত দিয়ে পাচারকালে প্রতিদিনই ইয়াবার পাশাপাশি ক্রিস্টাল মেথ আইসের চালান জব্দ করছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ তিনজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।

দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এ বাহিনী বলছে, দেশে ক্রিস্টাল মেথের এত বড় চালান আর কখনও ধরা পড়েনি।
আটকরা হলেন: উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহম্মেদের ছেলে বুজুরুজ মিয়া (৫১), একই এলাকার মো. আব্দুর শুক্কুরের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২৩) এবং মো. আবু মণ্ডলের ছেলে ছৈয়দুল বাশার (৪০)।
বিজিবির রামু সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল মেহেদি হোসাইন কবির বুধবার দুপুর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রহমতের বিল সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান আসার খবরে বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
“ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে মিয়ানমারের দিক থেকে ৬/৭ জন লোককে বস্তা কাঁধে পায়ে হেঁটে আসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা থামার নির্দেশ দেন। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক লোকগুলো সঙ্গে থাকা দুটি ছোট বস্তা ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৩ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।”
পরে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া বস্তা দুটি খুলে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ পাওয়া যায়, যার দাম আনুমানিক ৬৩ কোটি টাকা। আর এটা দেশে আটক হওয়া ক্রিস্টাল মেথের সবচেয়ে বড় চালান বলেও জানায় বিজিবি কর্মকর্তা।
এদিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ইয়াবা ও আইসের কারখানাগুলো তথ্যগুলো পতাকা বৈঠকে বিজিপিকে জানানো হয়। আর আগামী মাসে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধের বিষয়টিও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে আলোচনা হবে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বুজুরুজ মিয়া মাদক কারবারিদের গডফাদার এবং ইসমাইল ও বাশার তার দুই সহযোগী। আটকদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি অধিনায়ক।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...