ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৫/০৬/২০২৩ ৭:৩৬ এএম

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বিচার খুব দ্রুত শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। এজন্য ১৫ দিন পরপর শুনানি হচ্ছে। বিচারের শুরুতেই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এ মামলার চার্জশিটে সাত আসামি থাকলেও নিহতের স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে সামনে রেখেই বিচার কাজ এগিয়ে চলছে।

বিপরীতে পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার গভীর ষড়যন্ত্র করে বাবুলকে ফাঁসিয়েছেন বলে আদালতে প্রমাণ করতে মরিয়া তাঁর আইনজীবীরা। তাঁরা জেরায় ঘুরেফিরে বারবারই বনজের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পক্ষে নতুন নতুন যুক্তি তুলে ধরছেন। মামলার প্রথম সাক্ষী মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য ও জেরায় দু’পক্ষের তুমুল আইনি লড়াই থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম মহানগরের পিপি আবদুর রশিদ বলেন, মিতুকে তাঁর স্বামী বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় খুন করা হয়েছে। এর পক্ষে মিতুর বাবা সাক্ষ্যদানকালে জোরালো তথ্য, প্রমাণ ও বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বাবুল তাঁর সোর্স মুসাসহ অন্যদের দিয়েই খুনের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর সপক্ষে আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ তুলে ধরেছে।

তবে বাবুলের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তাঁদের জেরায় বাদী মোশাররফের বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ অসংগতি ও ক্রটি তুলে ধরেছেন তাঁরা। তাঁরা আদালতে প্রমাণ করেছেন, পিবিআই ও বনজ কুমার মজুমদার মিলে বাবুলকে ফাঁসাতে এজাহার লেখা থেকে শুরু করে সবকিছু করেছেন। বাদী প্রথমে টিভি ও পত্রিকায় বাবুলকে নির্দোষ দাবি করলেও পরে পিবিআইর ফাঁদে পড়ে তাঁকে আসামি করে মামলা করেছেন।

কফিল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে অন্য সব খুনের মামলার বিচারে দু-তিন মাস পরপর তারিখ পড়লেও ব্যতিক্রম এ মামলাটি। এ মামলায় ১৫ দিন পরপর সাক্ষ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। এখানেও আমরা অস্বাভাবিকতা দেখছি।
চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে জেরায় গত ৯ মে বাবুলের আইনজীবী দাবি করেন, বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশনায় এবং তত্ত্বাবধানে মামলা করেছেন বাদী মোশাররফ। পিবিআই বাদীকে নিজেদের এসি গাড়িতে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। মামলা করতে পাঁচলাইশ থানায় পিবিআইর গাড়িতে করে নিয়ে যায়।

বাদী জেরায় তা সত্য নয় বলে জবাব দেন। কিন্তু তিনি ঢাকা থেকে কোন পরিবহনের গাড়িতে করে চট্টগ্রাম এসেছিলেন জেরায় জানতে চাইলে ঈগল লোকাল বাসে করে এসেছিলেন বলে জবাব দেন। বাবুলের আইনজীবী তখন বলেন, ঈগল লোকাল নামে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে কোনো বাস সার্ভিস নেই। এ আইনজীবীর দাবি, বাদী পিবিআইর খুলশীর রেস্ট হাউসে ছিলেন।

তিনটি বইয়ে বাবুল ও ভারতীয় নারী গায়েত্রী অমর সিংয়ের ভালোবাসাময় লেখা পিবিআই অফিসে বসে সাজানো হয়েছে বলে জেরায় আসামির আইনজীবী দাবি করেন। তবে তা সত্য নয় বলে জানান বাদী।

বাদী আদালতে বলেন, বাবুলের সঙ্গে গায়েত্রীর সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থেকে মিতুর ওপর অত্যাচার দিন দিন বাড়তে থাকে। এ জন্য বাবুল তাঁর মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেন। খুন করতে বাবুল তাঁর সোর্স কামরুল শিকদার মুসাকে কাজে লাগান। মুসা প্রায়ই বাবুলের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। অস্ত্র কেনার জন্য বাবুল তাঁকে ৭০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। ঘটনার আগে বাবুল চীনে যান। তখনও মুসাকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন মাহমুদাকে খুন করতে।

২০১৬ সালের ৫ জুন গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদরদপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। নানা নাটকীয়তা শেষে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পিবিআই বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। গত ১৩ মার্চ বিচার শুরু হয়। এর মধ্যে পাঁচ আসামি কারাবন্দি। একজন জামিনে এবং আরেকজন পলাতক রয়েছেন

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...