প্রকাশিত: ০৬/১২/২০২১ ৭:৩২ পিএম

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিপালিত হয় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। সেজন্য সাধারণ জনগণসহ সবার সঙ্গেই তাদের ভাষা ও ব্যবহারে মার্জিত, শোভন ও শালীনতাবোধ থাকা বাঞ্ছনীয়।’
অনলাইনে একটি সাক্ষাৎকারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে সমালোচনায় পড়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবার জোর দিয়েছেন মার্জিত ভাষা ও শালীনতাবোধে। এটি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা-সেটিএ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী নিজ জেলা জামালপুরে গিয়ে এই মন্তব্য করেন সেখানকার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মত বিনিময়ে। সেখানকার পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেছেন, এমন অভিযোগ উঠার পর তিনি বসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিপালিত হয় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। সেজন্য সাধারণ জনগণসহ সবার সঙ্গেই তাদের ভাষা ও ব্যবহারে মার্জিত, শোভন ও শালীনতাবোধ থাকা বাঞ্ছনীয়।’

‘‌সেবা দেয়া ছাড়া তারা কারও সঙ্গেই কোনো অশোভন আচরণ করার অধিকার রাখেন না’- এ কথা জানিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ‘‌এটা আমার কথা নয়, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা।’

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাদের পুত্র তারেক রহমানকে নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন, তার তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে প্রতিমন্ত্রী সেটি সরিয়ে নেন, যদিও নিউজবাংলাকে তিনি বলেছেন, তিনি তার বক্তব্যে অটল। কে কী সমালোচনা করল, তা তিনি গুরুত্ব দেন না।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এই মতবিনিময় যে কারণে সাংবাদিকরা আয়োজন করেছেন, তার শুরু গত শুক্রবার। সেই রাতে সাংবাদিকদের ধরে এনে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশ সুপার মো. নাছির উদ্দীন আহমেদের বিরুদ্ধে। তার প্রত্যাহার দাবিতে গতকাল শনিবার থেকে আন্দোলনে নামেন জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা।

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তার কাছে পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার চেয়ে স্মারকলিপি দেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে সমাবেশ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন সাংবাদিকরা। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

তিনি বলেন, ‘জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) নাছির উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে যে অশোভন আচরণ করেছেন, তা আমি বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত হয়েছি। সাংবাদিক ভাইদের কাছ থেকেও বিস্তারিত শুনলাম। এ বিষয়ে আমি সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’

শুক্রবার রাতে পুলিশের নিজস্ব সংগঠন পুলিশ নারীকল্যাণ সমিতি-পুনাক আয়োজিত মেলা সম্পর্কে অবহিত করতে সাংবাদিকদের মেলা প্রাঙ্গণে ডাকেন পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন। সেখানে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে জামালপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে ধরে পিটিয়ে চামড়া তোলা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন এসপি। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।

পাঠকের মতামত

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী/দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তি’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ...