ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪/০১/২০২৩ ৮:৩৪ এএম

সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, ‘বর্তমানে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ভয়াবহ মাদকের প্রবেশ তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায় যারা জড়িত, তাদের সাথে বাংলাদেশের যাদের যোগাযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কক্সবাজার এলাকা অশান্ত হয়ে উঠবে।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে সোমবারের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি নতুন করে মাদক কারবারিদের তালিকা করার দাবি জানান।

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ আরো বলেন, ‘এই যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যাদের মানবিকতা দেখিয়ে এই বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তারা ৩৪টি ক্যাম্পে থাকে। সেই ৩৪টি ক্যাম্পের মধ্যে ১৯টি ক্যাম্পে আমাদের এপিবিএন-এর পুলিশ ফাঁড়ি আছে। বাকিগুলোতে কোনো পুলিশ ফাঁড়ি নেই।’

তিনি বলেন, ‘এই রোহিঙ্গারা অনেক জায়গাতে কাঁটাতারের বেড়া কেটে এখান থেকে বের হন। তার চাইতেও ভয়াবহ হচ্ছে, আমাদের তমরু সীমান্ত এলাকার কোনাপাড়া একটা জায়গা আছে, সেটা নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে পড়েছে। সেখানে কয়েক শ’ ঘরবাড়ি স্থাপন করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে কয়েকটি সশন্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ সেখানে থাকে এবং তারাও মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা ওইখান থেকে মাদক নিয়ে আসে। নো ম্যাসস ল্যান্ডের মধ্যে হওয়ায় কোনাপাড়ায় আমাদের কোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি অভিযান চালাতে পারে না। তারা ওইখান থেকেই মাদকটা নিয়ে আসে।’

পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘এই যে আমাদের তিনগুণ মাদক বৃদ্ধি পেলো, আগের তালিকার পরে এখন তো নতুন করে তালিকা করা দরকার। আমাদের কারা এই মাদক ব্যবসার সাথে টেকনাফ এলাকায়, কক্সবাজারে জড়িত আছে, নতুন করে তালিকা করে যদি এদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে না যাওয়া যায়, তাহলে আমাদের তরুণ সমাজের অভিষ্যৎ অন্ধকার। এই যে কোনাপড়ায় যারা আশ্রয় নিয়েছে নো ম্যানস ল্যান্ডের সন্ত্রাসী গ্রুপ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া যায় তাহেল এই সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বারা এই এলাকা আশান্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হচেছ এরা যারা কোনাপাড়াতে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে মাদক নিয়ে আসছে, মিয়ানমান থেকে মাদক নিয়ে আসছে, যে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো নিয়ে আসছে, ফলে সন্ত্রাসী ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে ১৩৩টির উপরে খুনের ঘটনা ঘটেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। রোহিঙ্গারা এই মাদক নিয়ে আসছে, নিশ্চয়ই আমাদের এই টেকনাফ বা এই অঞ্চলে আমাদের দেশের মানুষের সাথে সম্পর্কিত না হয়ে এই মাদকের ব্যবসা কখনই করা সম্ভব না। এই মাদকের মধ্যে ভয়াবহ মাদক ইয়াবা তো আছেই নতুন করে আইচও আসছে।

পাঠকের মতামত