এ.এম হোবাইব সজীব::
গাছ সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলায় দায়ের এলোপাতাড়ি কুপে একই পরিবারের নারী-পুরুষসহ তিনজন আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ৮ টার সময় মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মগডেইল গ্রামের এ লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় শনিবার সকালে ফের সন্ত্রাসীরা আহত পরিবারদের হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, মগডেইল এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন ( ৩৪), মেয়ে রোজিনা বেগম (২৫) জুবাইদা বেগম (৩৩)।
স্থানিয় লোকজন আহতদের চোরচিৎকারে এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রোজিনার বেগমের অবস্থা গুরুতর। তার র্স্পশ কাতর স্থানে ২টি দায়ের কুপ রয়েছে। মগডেইল এলাকার এম.ইউপি সদস্য সরওয়ার বলেন, কিরিচের আঘাতে যেভাবে মহিলা ও পুরুষদের আহত করা হয়েছে তা আইয়েমি জাহেলিয়া যুগকে ছাড়িয়ে যাবে।
আহত জসিমের চাচী জাহানারা বেগম ও প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, লেদুমিয়ার গংয়ের সীমানার একটি গাছ তার বাড়ির উঠানে হেলে পড়ে যায়। উল্লোখ্য গাছটি দুই পক্ষের একই সীমার মধ্যে অবস্থিত। এতে হামলাকারীরা আহতদের মায়ের নাম ধরে গালিগালাজ করে গাছটি কেটে ফেলতে বললে জসিমের বোন রোজিনা তার মা অসুস্থ মৃত্যুর পথ যাত্রী তাই গালিগালাজ না করতে নিষেধ করে গাছটি কেটে ফেলবে বললেও স্থানিয় মৃত আব্দু জব্বারের ছেলে সোনা মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোনা মিয়া, ইউনুছ, মো: দয়া, শামসুন্নাহারের নেতৃত্বে ৫/৭ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা লেদু মিয়ার পরিবারের উপর কিছু বুঝে উঠার আগে অর্তকিত হামলা চালায়। এতে আহত হন নারী-পুরুষসহ তিনজন। পরে খবর পেয়ে জনতার সহযোগিতায় পুলিশ অভিযোক্ত সোনামিয়াসহ ৩ জনকে আটক করে।
মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এস,আই শাওন দাস তিনজনকে আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকার আইনশৃংঙ্খলার কথা চিন্তা করে স্থানিয় ভাবে মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য স্থানিয় চেয়ারম্যান মাষ্টার মোঃ উল্লাহর জিম্মি দশায় আটকৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মোঃ উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমি এরকম একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনার খবর পেয়ে নিজে চিকিৎসার জন্য আহতদেরন হাসপাতালে প্রেরণ করি। এবং আহতরা সুস্থভাবে বাড়ি ফিরলে স্থানিয় ভাবে শালিশের মাধ্যমে দুই পক্ষকে মিমাংশা করে দেওয়ার জন্য একটা সিন্ধান্ত নিয়েছি তারা ও রাজি ও হয়েছে।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ পিপি (বার) বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।