ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৪/০৫/২০২৩ ৯:৪৩ এএম

সৈয়দুল কাদের ::
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর হবে দেশের অর্থনীতির অন্যতম হাব। গত দুই বছরে ১১৪ টি জাহাজ ভিড়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্প পুর্ণ বাস্তবায়ন হলে মহেশখালী দেশের একটি শিল্প সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এই বন্দরের সুফল ভোগ করবে দেশ এবং বিদেশের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ। অসংখ্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এখন আলোচনার শীর্ষে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর।

সম্প্রতি ৮০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ ৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে ভিড়েছে। বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা সন্দেহ থাকলেও সরকারের ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্প সহজেই বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই গভীর সমুদ্র বন্দরের গুরুত্ব ও প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মাঝে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। যার ফলে জমি অধিগ্রহনেও কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। এখন স্থানীয় লোকজনও গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে আশাবাদি হয়ে উঠেছেন।
মাতারবাড়ির চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার বলেন, মাতারবাডড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে অন্যান্য বন্দর থেকে এর দূরত্ব বেশি হবে না। চট্টগ্রাম থেকে সমুদ্রপথে মাতাবাড়ির দূরত্ব ৩৪ নটিক্যাল মাইল, পায়রা বন্দর থেকে মাতাবাড়ির দূরত্ব ১৯০ নটিক্যাল মাইল ও মোংলাবন্দর থেকে গভীর সমুদ্রবন্দরের দূরত্ব ২৪০ নটিক্যাল মাইল। তাই মাতারবাড়িতে মাদার ভেসেল বৃহদাকার কন্টেইনার জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে অল্প সময়ের মধ্যে সড়ক ও সমুদ্রপথে অন্যান্য বন্দরে পরিবহন করা যাবে। পুরোদমে মাতারবাড়ী বন্দর চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। পরিসংখ্যান বলছে গভীর সমুদ্রবন্দর জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে দুই থেকে ৩% অবদান রাখবে। গত দুই বছরে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে এই বন্দর থেকে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোতে সাধারণত মাত্র ৯.৫ মিটার ড্রাফটবিশিষ্ট জাহাজ বার্থ করতে পারে। তবে সম্প্রতি ১০ মিটার ড্রাফটের একটি জাহাজ ভেড়ানো হয়েছে। কিন্তু এসব জাহাজ ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪০০ টিইইউএস কন্টেইনার বহন করতে পারে। একটি মাদার ভেসেলের ধারণক্ষমতার আট হাজার থেকে ১০ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে আট হাজার টিইইউসের বেশি সক্ষমতাসম্পন্ন কন্টেইনার বহনকারী জাহাজ নোঙর করতে পারবে। সহজেই আসতে পারবে বৃহদাকার কন্টেইনার জাহাজ। তিনি আরো বলেন এই বন্দরের সুফল পাবে দেশ বিদেশের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ।

আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, সবই প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্ব। তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেই মহেশখালীতে অভূতপুর্ব উন্নয়ন করতে পেরেছি। তিনি সকল প্রস্তুতি বাস্তবায়ন করেন বিধায় আজকের এই উন্নয়ত বাংলাদেশ । মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর জেলাবাসীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উপহার। যে প্রকল্প বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ভাবে আরো এগিয়ে নেবে। বিগত ১০ বছর এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছি বিধায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ উজ্জল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় মাতারবাড়ি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির অন্যতম ‘হাব’। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।

পাঠকের মতামত

চকরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হট্টগোল

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল ...