ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৭/০৫/২০২৩ ৯:০২ এএম

তারেকুর রহমান, সেন্টমার্টিন থেকে ::
ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিনের কোণারপাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সেই মসজিদে আজান হচ্ছে না গত ১৪ মে সন্ধ্যা থেকে। বাতাসের ধাক্কায় মসজিদের ছাউনি মাটিতে পড়ে গেছে। সাময়িকভাবে আজান ও নামাজ বন্ধ রয়েছে সেখানে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে সরেজমিন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৮নম্বর ওয়ার্ড কোণারপাড়া বিজিবি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মসজিদটির বেহাল দশা। সিলিংয়ে লাগানো ফ্যান, বাতিগুলো থেকে গেছে। ভেতরে রয়েছে ধর্মীয়গ্রস্ত।

বায়তুন নুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই মসজিদটি দীর্ঘদিনের পুরনো। দূর থেকে মুসল্লিরা এসে এখানে নামাজ আদায় করতেন। ইবাদত বন্দেগি করতেন। হঠাৎ মোখার তাণ্ডবে মসজিদটি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে নামাজ পড়ার অননুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝড়ের দিন থেকে এই মসজিদে আজান হচ্ছে না। মুসল্লিরা ইবাদত করতে পারছে না। এমনকি মসজিদের সিলিংয়ে এখনো লাগানো রয়েছে ফ্যান, বাতি। সেগুলোও খুলতে পারছি না মাটির সঙ্গে লেগে গেছে বলে।’

এই ইমাম আরও বলেন, ‘শুধু এই মসজিদ নয়, পার্শ্ববর্তী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়া আমিরুল মুয়াবিয়াহ মাদ্রাসায়ও ভেঙে গেছে। শিগগিরই মেরামতের ব্যবস্থা না হলে মাদ্রাসায় পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটবে।’

এদিকে সেন্টমার্টিন বড় মাদ্রাসায়ও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাদ্রাসার গাছপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।

মোখার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন কোণারপাড়া ক্রীডা স্কুলের ক্লাসরুমগুলো। দুই শিফটে চারটি কক্ষে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা হতো স্কুলটিতে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, মেরামত বা পুনর্নির্মাণের তহবিলও নেই যে যা দিয়ে পাঠদান কক্ষগুলো মেরামত করা যাবে। তবে স্কুলটি ঢাকার এক ব্যক্তি তার একটি সংস্থায় নাম দিয়ে পরিচালনা করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্কুল পরিচালনা পরিষদের প্রধান থাকেন ঢাকায়। বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা থেকে স্কুলটির জন্যে অনুদান নেওয়া হলেও স্কুলের জন্যে ব্যয় করা হয় না। স্কুলের ব্যয় মেটানো হয় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের দেওয়া বেতন থেকে।

তবে প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুল পরিচালনা পরিষদের প্রধান চেষ্টা করছেন তহবিল সংগ্রহ করে স্কুল ভবন মেরামত করার জন্যে।

স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সোলায়মান বলেন, ‘তুফানে আমাদের স্কুলটি ভেঙে গেছে। যত দিন স্কুলভবন ঠিক করা না হবে তত দিন লেখাপড়া হবে না। সুত্র: রাইজিংবিডি

পাঠকের মতামত