আতিকুর রহমান মানিক::
কক্সবাজার সদরের পোকখালীতে মরা গরুর গোস্ত বিক্রি করেছে অসাধু কসাইদের সিন্ডিকেট। মরা গরু কেটে গোস্ত তৈরি করার পর (প্রকৃত তথ্য গোপন করে) এলাকার একটি বিয়ে বাড়ীতে ও কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের একটি রেষ্টুরেন্টে সিংহভাগ গোস্ত গছিয়ে দেয় এরা। অবশিষ্ট মাংস পোকখালী মুসলিম বাজারে বিক্রি করা হয় বলে জানা গেছে। মধ্যম পোকখালীর কসাই মুজিবের নেতৃত্বাধীন কসাই সিন্ডিকেট এ কাজ করে বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা। অভিযুক্ত মুজিব মধ্যম পোকখালী গ্রামের মোহাম্মদ হোছন মাঝির ছেলে।
গরুর মালিক ও বর্ণিত ইউনিয়নের পূর্ব পোকখালী মিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছৈয়দ আলম জানান, তার গৃহপালিত একটি বলদ গরু কয়েকদিন ধরে অসুস্হ হয়ে আস্বাভাবিক আচরন করছিল। এতে গরুটিকে চিকিৎসা করার জন্য গোয়ালঘরে বেঁধে রেখে গতকাল সন্ধ্যায় ঈদগাঁও বাজারে পশু চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। এদিকে গরুটি ছটফট করতে থাকে ও একপর্যায়ে মারা যায়। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী সিকদার পাড়া গ্রামের জনৈক মোজাম্মেল ও কসাই মুজিব তার বাড়ীতে এসে মরা গরুটিকে জোরপূর্বক জবাই করে তাড়াতাড়ি গোস্ত বানিয়ে কয়েকটি বস্তা ভরে নিয়ে যায়। ছৈয়দ আলমের স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান, এসময় কসাই মুজিব ও মোজাম্মেল তাঁকে তিন হাজার টাকা দিতে চায়। কিন্তু গৃহকর্তা বাড়ীতে না থাকায় তিনি টাকা নেননি। এরপর মরা গরুর এসব গোস্ত উপরোক্ত বিভিন্ন স্হানে রাতারাতি সরবরাহ করে কসাইরা। উপরোক্ত ব্যাপারে জানতে চাইলে কৌশলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে অভিযুক্ত মুজিব বলেন, এ ব্যাপারে আগামীকাল এলাকায় "সমঝোতা বৈঠক" করা হবে। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই জামাল উদ্দীন জানান, গরুর মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্হলে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে ও এ ব্যপারে আইনি ব্যবস্হা নেয়া হবে। এলাকাবাসী জানান, মুজিবের নেতৃত্বাধীন কসাই সিন্ডিকেট প্রায় সময় দুর-দুরান্ত থেকে অসুস্হ ও মৃত গরু এনে রাতের আধাঁরে জবাই করে ও মুসলিম বাজার, গোমাতলী বাজার, ফরাজী পাড়া ও পূর্ব ফরাজী পাড়াসহ বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন পয়েন্টে চড়াদামে বিক্রি করে আসছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল মাঠে নেমেছে বলে জানা গেছে।