ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৭/০৭/২০২৫ ৯:১৮ পিএম

শাহবাগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় কমিটি বাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাংলাদেশের সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সাবেক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ এ ঘোষণা দেন।

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সাবেক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ।

রিফাত রশিদ বলেন, ‘অর্গানোগ্রামের (সাংগঠনিক কাঠামো) সিদ্ধান্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারা দেশের সকল কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। এর পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয়ে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ব্যানারকে কলুষিত করার জন্য পরাজিত শক্তিরা নানাভাবে এ প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে। যারা অনৈতিক কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান তিনি।’

তিনি জানান, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামীতে কিভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠার পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিতের ঘোষণা এলো।

এ ঘটনায় গ্রেফতার রিয়াদসহ চারজনের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে।

রিমান্ড চাওয়া অন্যরা হলেন- সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন।

এর আগে রোববার সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। এতে তিনি ছয়জনকে আসামি করেন। রিয়াদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু মো. আমিনুল ইসলাম।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০ টায় আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি শাম্মি আহম্মেদের বাসায় যান। তখন তারা হুমকি ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণাংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেন। এ ঘটনার পর গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টাত দিকে আসামি রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় স্বজোরে ধাক্কা মারেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে আসামিরা চলে যায়

পাঠকের মতামত

৫ ব্যাংক মার্জার: গভর্নর পদত্যাগ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুমকি বিনিয়োগকারীদের

সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা গভর্নরের পদত্যাগ চাই। বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা না করে গভর্নর ব্যাংকগুলোকে মার্জার ...

১১ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে ঢাকার চিত্র ভিন্ন হয়ে যাবে: গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, ৫ দফা দাবি আগামী ১১ নভেম্বরের ...

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাতে ঢাকাকে অনুরোধ করেছে নেপিদো

মিয়ানমারের সামরিক সরকার আগামী মাসে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করছে। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক ...

পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহক চলতি মাসেই তুলতে পারবেন আমানতের অর্থ

আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত শরিয়াভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক মার্জার বা একীভূত করতে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ...