উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭/০৯/২০২২ ৯:১৭ পিএম

বিয়েবাড়ির বড় আকর্ষণ ভালো খাওয়া-দাওয়া। বিয়ের আয়োজন কতটা ভালো হলো, তা বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার ওপরও অনেকাংশে নির্ভর করে। এছাড়া বিয়েতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের সাধ্য অনুযায়ী ভালোভাবে আপ্যায়ন করানোটাও একটি বহু প্রাচীন প্রথা।
সেই অনুযায়ী দল বেঁধে বিয়ে বাড়িতে খাবার খেতে গিয়েছিলেন অতিথিরা। তবে সেখানে খাবার না পেয়ে যে ফিরতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অনেকে। কনের পরিবারের ব্যতিক্রমী কাণ্ডেই কিনা না খেয়েই ফিরতে হল বহু অতিথিকে।
মূলত বিয়ের খাবার খেতে কনের পরিবার আইডি কার্ড দেখানোর শর্ত দেওয়ার পর ভোজসভায় ঢুকতেই পারেননি বহু অতিথি। অগত্যা অনেককেই ফিরে যেতে হলো খালি পেটে। ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায়।
গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস। অতিথিদের আইডি দেখানোর ও বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের জন্য তাদের চেষ্টার একটি ভিডিও অবশ্য ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, বিয়েতে যত জনকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তার থেকে অনেক বেশি অতিথি চলে আসে ঘটনার দিন। এতে করে খাবার শেষ হয়ে যায় আগেই। এতে কার্যত মাথায় হাত পড়ে যায় কনের পরিবারের। অতিথিদের আটকাতে তাই আধার কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক করে দেন তারা। আর যাদের আধার কার্ড ছিল না, তারা না খেয়েই ফিরে যান।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার হাসনাপুরে গত ২১ সেপ্টেম্বর পাশাপাশি দু’টি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। একটি বিয়ে বাড়িতে যখন বরযাত্রীদের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছিল, তখন সেখানে চলে আসেন অন্য বিয়ে বাড়ির অতিথিরাও। তারা বসেই খাবারও খাওয়া শুরু করে দেন।
তবে কনের পরিবার কিছুতেই বুঝতে পারছিল না, কারা আসলে তাদের অতিথি। এতে বেঁধে যায় গোল। খাবার শেষ হয়ে যায়। মন খারাপ হয়ে যায় কনের পরিবারের। বাধ্য হয়ে অতিথিদের প্রবেশ বন্ধ করতে আধার কার্ড দেখানোর শর্ত দেন। জানিয়ে দেন, ওই পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ নিষেধ।
যদিও প্রকৃত অনেক অতিথি তাদের আধার কার্ড ছাড়াই বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এবং কনের পরিবারের দেওয়া শর্তকে তারা অপমান হিসাবে আখ্যা দেন। এতে না খেয়েই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন অনেকে।
ক্ষুব্ধ অতিথিদের অভিযোগ, আধার কার্ড আনতে হবে নিমন্ত্রণের সময় জানানো হয়নি কেন? কে বিয়েবাড়িতে আধার কার্ড নিয়ে আসেন? বেশ কয়েকজন অতিথি এমন শর্তকে অপমান বলে ব্যাখ্যা করে না খেয়েই বিয়েবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

পাঠকের মতামত