শুক্রবার আকদ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রামের ছেলে রায়হান নওশাতের। তিনি এখনো ফেসবুক ওয়ালে রয়ে গেলেও, আজ না ফেরার দেশে। রোববার এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন নওশাত। বন্ধুদের সঙ্গে হাসিমুখে তোলা সেই ছবি এখন কাঁদাচ্ছে তার পরিবারসহ পুরো চট্টগ্রামকে।
নিহত রায়হান নওশাত চট্টগ্রামের বেসরকারি পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। চাকরি করতেন নগরের কাটগড় এলাকার এসএপিএল কনটেইনার ডিপোতে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সানজিদা সূচি নামের এক তরুণীর সঙ্গে তার আকদ হয়। এপ্রিলের দিকে বউকে ঘরে তোলার কথা ছিল।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক জানান, রোববার রাতে আরেক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন দু’জনে। চট্টগ্রাম নগরীর আউটার রিং রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মারা যান নওশাত। অন্যজনও গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হান নওশাতকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।’
রায়হানের আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার স্বজন সহপাঠীরা। তার মৃত্যুর শোকের ছায়া নেমে এসেছে শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে।
রায়হানের আকদ ও লাশ ঘরের ছবি পোস্ট করে ইমাম আসিফ নামে একজন সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘Raihan Nowshad ভাই কেন এমন হলো। হাতে মেহেদি দিয়ে সানাই বাজিয়ে ভাবিকে ঘরে তোলার কথা ছিল। আজ আপনি একলা ঘরে নিস্তব্ধ দুনিয়ায় চলে গেলেন।’
মাসুক বাবু লিখেছেন, ‘কত আশা, কত প্ল্যানিং, কত স্বপ্ন! মুহূর্তেই সব শেষ!’
তার সহকর্মী সাকিবুল হক লিখেছেন, ‘মৃত্যু... হাজারো গল্পের সমাপ্তি। পরপারে ভালো থেকো রাইহান। চাকরির সুবাদে পরিচয় কিন্তু ছিলাম বন্ধুর মতো।’
নিহত রায়হান নওশাত হাটহাজারীর বাড়ি নজুমিয়া হাট এলাকার মৃত নাজিম উদ্দীনের ছেলে। সোমবার বেলা ১১টায় তার বাড়ি নজুমিয়া হাটে হাজি নজির ফকির বাড়ির ইদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।