মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী
প্রকাশিত: ০৮/১২/২০২২ ১১:৩৯ এএম

কক্সবাজারের কৃতিসন্তান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও বিধি অনুবিভাগ) শফিউল আজিম-কে (৬৩৬৫) বাংলাদেশের পাতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার ৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষন-১ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত ৯৭৩ নম্বর স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে এ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মরহুম ডাঃ আজিম উদ্দিন আহমেদ ও সালেহা আজিমের সন্তান, কক্সবাজারবাসীর গর্বের ধন, শফিউল আজিম এর জন্ম ১৯৬৭ সালের ১৮ নভেম্বর কক্সবাজার শহরের পূর্ব টেকপাড়ায় এক ঐতিহ্যবাহী বুনিয়াদি পরিবারে। ৭ ভাই, ৭ বোনের মধ্যে শফিউল আজিম ভাইদের মাঝে ষষ্ঠ।

অদম্য ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন সরকারের অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজিম ১৯৮৫ সালে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ হতে কৃতিত্বের সাথে এইসএসসি এবং প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯৪ সালে আইন বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন কৃতিত্বের সাথে।

এরপর ১৯৯৫ সালে শফিউল আজিম ১৫তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে দেশের সবচেয়ে বুনিয়াদি ও সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী ক্যাডার হিসাবে পরিচিত বিসিএস (প্রশাসন) এর সরকারি চাকুরীতে যোগ দেন।

দরিয়ানগরের ভূমি সন্তান শফিউল আজিম চাকুরী জীবনের শুরুতে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ পান। অত্যন্ত মেধাবী, সৎ ও চৌকষ কর্মকর্তা শফিউল আজিম কুমিল্লা জেলা প্রশাসনে সহকারী সচিব ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব), তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী ও গীতি আরা সাফিয়া’র একান্ত সচিব (উপসচিব), সাবেক আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ’র একান্ত সচিব (উপসচিব) হিসাবে দীর্ঘ ৫ বছর দক্ষতা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

কর্মপাগল শফিউল আজিম সাভারে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনষ্ঠিটিউটের উপ পরিচালক ছিলেন। এরপর তিনি কাতারের দোহায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ও ব্রুনাই এর দারুস সালামে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সিলর হিসাবে দু’টি দেশে দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্র ও উভয় দেশের প্রবাসীদের কাছে প্রশংসিত হন। শফিউল আজিম উপসচিব হিসাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েও দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর থেকে শফিউল আজিম মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (বিধি, সেবা ও আইন অধিশাখা) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও বিধি অনুবিভাগ) পদে অধ্যাবদি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন সুনামের সাথে। একজন গতিশীল ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসাবে শফিউল আজিমের সুনাম রয়েছে জনপ্রশাসনের সর্বত্র। শফিউল আজিম জনপ্রশাসন বিষয়ে বিদেশী মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও একই বিষয়ে বিদেশ থেকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অনেকবার।

২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর সংগঠক শফিউল আজিম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের নির্বাচিত সভাপতি নির্বাচিত হন।

শফিউল আজিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে অনার্স মাষ্টার্স করা আয়েশা আলী’কে ১৯৯৭ সালে জীবনসঙ্গিনী হিসাবে বেচে নেন। আয়েশা আলী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। শফিউল আজিম-এডভোকেট আয়েশা আলী দম্পতি নাহরীন তাজরী নামক একমাত্র কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক ও জননী। নাহরীন তাজরী লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ-থেকে কৃতিত্বের সাথে এলএলবি অনার্স সম্পন্ন করে এখন মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।

নির্লোভ, নিরহংকার, সজ্জন, অত্যন্ত অমায়িক শফিউল আজিম তাঁর উপর সরকারের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে মহান আল্লাহর অসীম রহমত, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত