প্রকাশিত: ১৪/০১/২০২২ ৪:৩৩ পিএম

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের বিধিনিষেধ আশার সঞ্চার করলেও মাঠের চিত্র চরম হতাশার। বেশিরভাগ মানুষই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। নির্দেশনা মানাতে প্রশাসনেরও নেই কোনো উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার কঠোর না হলে সামনের দিনে দিতে হতে পারে চড়া মূল্য।

ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনার দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) ছুটির দিন। তাই ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম অনেক বেশি।

নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার ব্যস্ততায়, অতি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক আনতেই বেমালুম ভুলে গেছেন অনেকেই। আবার যাদের সঙ্গে আছে তারাও মাস্ক পরেননি সঠিকভাবে।

কারওয়ান বাজারে আসা এক ক্রেতা বললেন, মাস্ক পরা উচিত। আজ আনতে ভুলে গেছি।

সড়ক কিংবা দোকানপাটের চিত্রও প্রায় একই। সর্বত্রই যেন মাস্ক পরায় চরম অনীহা। নির্দেশনার নিয়ম অমান্যকারীকে আইনের আওতায় আনার কথা বলা হলেও মাঠে নেই সরকারের সংশ্লিষ্টরা।

কারওয়ান বাজার এলাকায় ঘুরে বেড়ানো এক যুবক বললেন, করোনা বাড়ছে জানি। মরা তো একদিন লাগবেই। মরলে এমনেই মরব।

এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও বেশি বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। পাশাপাশি করোনা পজিটিভও হচ্ছে কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বেশি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিতে আসা এক ব্যক্তি বললেন, আমার কোনো উপসর্গ ছাড়াই করোনার টেস্টে গিয়ে পজিটিভ ধরা পড়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ ছাড়া বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন সম্ভব নয় জানিয়ে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে।

একজন বিশেষজ্ঞ মনে করেন আংশিক বিধিনিষেধ কার্যকর করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে যারা এ বিধিনিষেধ মেনে চলবেন, যারা এর দ্বারা উপকৃত হবেন, যারা এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এদের প্রত্যেককে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত করা খুবই প্রয়োজন।

দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখেরও বেশি মানুষ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৮ হাজার

পাঠকের মতামত