মুজিবুর রহমান::
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা “নতুন কুঁড়ি ২০২৫”-এ উখিয়ার সঞ্চারী সংগীত একাডেমির তিন শিক্ষার্থী কক্সবাজার জেলা পর্যায়ে উজ্জ্বল সাফল্য অর্জন করেছে। গতকাল চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত প্রথম রাউন্ডে তারা বিচারকদের মুগ্ধ করে উত্তীর্ণ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
রবীন্দ্রসংগীত ও দেশাত্মবোধক গানে রাজেশ পাল, দেশাত্মবোধক গানে অন্বেষা দাস এবং দ্বিপানিতা বড়ুয়া এই সাফল্য অর্জন করেন। তাদের এ অর্জনে উখিয়া উপজেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আনন্দের পরিবেশ বিরাজ করছে।
সঞ্চারী সংগীত একাডেমির পরিচালক ও প্রশিক্ষক সৃজন ধর বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা জেলা পর্যায়ে নিজেদের মেধা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। আমরা আশা করি, তারা জাতীয় পর্যায়েও উখিয়ার নাম সারাদেশে উজ্জ্বল করবে।”
একাডেমির সভাপতি তাজনীন আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক রাজু পাল এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, শিক্ষার্থীদের এ অর্জন শুধু পরিবার ও একাডেমির নয়, বরং সমগ্র উখিয়া উপজেলার জন্য গৌরবের। তারা শিক্ষার্থীদের জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান “নতুন কুঁড়ি” প্রথম প্রচারিত হয় ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে। গান, নাচ, আবৃত্তি ও অভিনয়সহ শিশু-কিশোরদের প্রতিভা বিকাশের জাতীয় মঞ্চ হিসেবে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। এখান থেকে উঠে এসে জাতীয় অঙ্গনে খ্যাতি পেয়েছেন অসংখ্য শিল্পী, উপস্থাপক ও অভিনেতা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “নতুন কুঁড়ি ২০২৫” নতুন আঙ্গিকে পুনরায় চালু হয়েছে। ধাপে ধাপে উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।