উখিয়াস্থ ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, টেকনাফের খরের দ্বীপ এলাকায় নদী পথে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় সন্দেহজনক কিছু ব্যক্তির উপস্থিতি টের পায় বিজিবি। কিন্তু বিজিবি সদস্যদের দেখা মাত্র সন্দেহজনক ব্যক্তিরা কয়েক রাউন্ড গুলি করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নৌকাযোগে পালিয়ে যায়। পরে খরের দ্বীপ এলাকায় তল্লাশী করে লুকানো অবস্থায় জি-৩ রাইফেল ২টি, এমএ-১ (ভ্যারিয়েন্ট এমকে২) -১টি, এলএম-১৬ ১টি ও ৮টি ম্যাগাজিনসহ মোট ৫০৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বিজিবি। চোরাচালান, মাদক কিংবা অবৈধ অস্ত্র-কোনো কিছুই সীমান্তে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী চোরাকারবারী অথবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে আনা হয়েছে। ধারণা করা হয়, এগুলো যে কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান অথবা নাশকতার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল। গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করে অস্ত্রের উৎস ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।