উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬/১২/২০২২ ৬:২৬ পিএম

শীতল সাগর, নেই ঢেউয়ের উত্তাপ। তাই তো সকাল থেকে সৈকতে ভিড় করছে পর্যটকেরা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন, তার উপর মহান বিজয় দিবস। তাই অন্য সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে পর্যটকের বাড়তি আগমন। বেলা যতই বাড়ছে সৈকতের মানুষের চাপ ততই বাড়ছে।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সাগরতীর জুড়ে পর্যটকের পদচারণা যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি শীতল নোনাজলে গা ভাসাতে মহাব্যস্ত তারা। আর পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে লাইফ গার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।

নরসিংদী থেকে আসা পর্যটক শারমিন সুলতানা বলেন, বিজয় দিবসের দিন কক্সবাজার বেড়াতে এসেছি। প্রচুর মানুষ সৈকতে, অনেক আনন্দ লাগছে। বেশি মানুষ থাকলে ঈদের মতো আনন্দ লাগে।

আরেক পর্যটক রহিম উদ্দিন বলেন, সাগরটা অনেক শীতল। অনেকক্ষণ গোসল করলাম, তারপর টিউবে গা ভাসালাম। খুবই মজা হচ্ছে।

মা-বাবা সঙ্গে বেড়াতে আসা শিশু সুমাইয়া বলেন, পরীক্ষা শেষ হয়েছে তাই মা বাবার সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছি। সাগরের পানিতে অনেক দৌড়াদৌড়ি করলাম, বালি নিয়ে খেলা করেছি। খুবই আনন্দ করছি।

সৈকতে পর্যটক বাড়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে লাইফ গার্ড কর্মীরা। বিশেষ করে, টিউবে গা ভাসিয়ে দূর সাগরে যাওয়া মানুষজনকে সতর্ক করা হচ্ছে বেশি।

সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ছুটির দিন আর পর্যটন মৌসুম তাই বাড়তি পর্যটকের চাপ। তাদের নিরাপত্তার জন্য সাগরে বোট নিয়ে এবং টাওয়ার থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে সাগরতীরে টহলও বাড়ানো হয়েছে। আশা করি, পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে কোন ধরনের দুর্ঘটনা হবে না। আমরা সবাই সতর্ক রয়েছি।

পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের হয়রানি বন্ধে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।

হোটেল কক্স-টুডে’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, কক্সবাজারে পর্যটকের এই চাপ আগামী দুই মাস অব্যাহত থাকবে। তাই পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি শিকার না হয়, তার জন্য প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট ও পর্যটন স্পটগুলো সাজানো হয়েছে নতুন সাজে।

পাঠকের মতামত