
রিয়াজুল হাসান খোকন: শামলাপুর::
টেকনাফ বাহারছড়া উত্তর শীলখালী গ্রামে দাখিল মাদ্রাসার পশ্চিম পাশে গড়ে উঠেছে মাদকের এক ভয়ংকর আস্তানা। কিছু দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় এই ভয়ংকর মাদক সেবনের আস্তানা গড়ে উঠেছে বলে স্থানীয় সতেচন মানুষের অভিযোগ। আর এই মাদক সেবনে প্রতিদিন নিয়মিত আসর বসে স্থানীয় আবদুল আমীন,মোঃ রফিকের নিজ ঘরে। সেখানে তারা খুচরা দামে প্রতিদিন ইয়াবা,গাঁজা বিক্রি করে এবং নিরাপদ সেবনের জায়গা হিসেবে মাদক সেবীদের তারা তাদের নিজের ঘরের একটি জায়গাকে ব্যবহার করতে দেন, এবং তার জন্য আবদুল আমীন,ও মোঃ রফিক মাদক সেবীদের কাছ থেকে আলাদা চার্জ করেন বলে জানা যায়। উত্তর শীলখালীর ঔ মাদকের আস্তানাকে কয়েক মাস আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোনা আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় সতেচন জনগণ ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঐ মাদকের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর, আয়ুব, শাহজালাল নামে তিন মাদক সেবীকে আটক করে মোবাই কোর্টের সামনে হাজির করে এবং মোবাইল কোর্ট উক্ত মাদক সেবিদের ৬ মাসের সাজা দেয়। কিন্তু যারা ঐ মাদকের আস্তানা চালায় তারা কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার কারণে পুলিশ তাদের সেইদিন গ্রেফতার করতে পারেনি। আর স্থানীয়দের প্রতিবাদ, পুলিশের অভিযান এরপরও এখনো ঐ মাদকের আস্তানায় ভয়ংকর মাদক সেবন ব্যবসা বন্ধ যায়নি। মাদক ব্যবসায়ী আবদুল আমিন ও মোঃ রফিক এখনো বহাল তয়িবিতে বিভিন্ন কৌশলে তাদের এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় শিক্ষিত সমাজের অভিযোগ, আর এর মুল কারণ কিছু স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়া। আবদুল আমিন ও মোঃ রফিক তাদের ব্যবসার নিরাপত্তার জন্য এখন তাদের আস্তানার প্রবেশ পথের মধ্যে একজন গার্ড রেখেছেন, এবং প্রশাসন বা সাংবাদিক সমাজের কেউ ঐ প্রবেশ পথে প্রবেশ করলে সাথে সাথে গার্ড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মুল আস্তানায় জানিয়ে দেয়। তার পরও অনেক কষ্টের পর এই প্রতিবেদকের কাছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মাদক সেবী ঐ মাদকের আস্তানার কিছু ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ করে, তিনি জানান ঐ মাদকের আস্তানায় অনেক স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা গিয়ে মাদক সেবন করে, আবার অনেক ভাল ভদ্র মানুষের ছেলেরাও গিয়ে মাদক সেবন করে, আবার অনেকে মাদকের টাকা যোগাড় করতে না পেরে অনেক চুরি ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে মাদকের টাকার জন্য কিছু যুবক প্রতিদিন মেরিন ড্রাইভ রোডের পশ্চিমে ঝাউগাছ কেটে বিক্রি করে। যার ফলে দিনে দিনে আমাদের পুরো এলাকাটা অশান্তিতে ভরে উঠতেছে। আমরা অবাধে মাদক পাচ্ছি বলে সেবন করতেছি, আমরাও চাই এই মাদক আস্তানা বন্ধ হোক, তখন আমরা অবাধে না পেলে আস্তে আস্তে অভ্যাসটা চলে যাবে বলে মনে করি। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সোনালী জানান আমরা শত চেষ্টার পরও ঐ মাদকের আস্তানা বন্ধ করতে পারছিনা, এই জন্য আমরা প্রশাসেনর স্পেশাল সহায়তা চায় যাতে ঐ মাদকের আস্তানা বন্ধ করে আমাদের যুব ও ছাত্র সমাজকে ভয়ংকর মাদকের নেশা থেকে বাচাঁনো যায়। অন্য দিকে এ প্রসঙ্গে বাহারছড়া কোর্সগার্ড ক্যাম্পের ইনচার্জ জানান শীঘ্রই আমরা সঠিক তথ্যের ভিক্তিতে এই মাদকের আস্তানায় অভিযান চালাব।
পাঠকের মতামত