শুভ্র সাদা বিশাল আকৃতির এক ঝিনুকের ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া করছে ট্রেন। এটাই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে সৈকত শহর কক্সবাজারে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ চলছে।
চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে ৬ তলা স্টেশন ভবনের মূল কাঠামোর কাজ। থাকছে তারকামানের হোটেল, কনফারেন্স রুম, শপিংমল ও পর্যটকদের জন্য লকার ও ফ্রেশ রুম।
বিশাল আকৃতির ঝিনুক। ঝিনুকের পেটের মুক্তার দানা। তার চারপাশে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি। এর মধ্যেই আসছে ট্রেন।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন হচ্ছে কক্সবাজারে।
দোহাজারি-কক্সবাজার নির্মাণাধীন রেললাইন প্রকল্পের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এটি। এখানে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, শিশু যত্ন কেন্দ্র, বা লাগেজ রাখার লকার। রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে পৌঁছে পর্যটকরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রাখতে পারবেন। আর সারাদিন ঘুরে রাতের ট্রেনেই ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে। এই মাসেই শেষ হচ্ছে ৬ তলা স্টেশন ভবনের মূল কাঠামোর নির্মাণকাজ।
আরও পড়ুন: পরিকল্পিতভাবে অচল করা হচ্ছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল
করোনার কারণে কাজে কিছুটা সমস্যা হলেও এখন পুরোদমে চলছে নির্মাণকাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে জানান রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, সচিব।
২৯ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা আইকনিক রেলস্টেশনটিতে মূল ভবন ছাড়াও নির্মিত হচ্ছে ১৭টি স্থাপনা। দিনরাত কাজ করছেন ৫ শতাধিক প্রকৌশলী ও শ্রমিক।সময় টিভি