ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৬/০১/২০২৩ ৪:৫১ পিএম

যেসব দেশ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়, প্রায় তিন বছর আগে সেসব দেশের জন্য ভিসা সীমিত করার পদক্ষেপে ঐক্যমতে পৌঁছেছিল ২৭ জাতিরাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন ইরাক, সেনেগাল এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও এবার এ ধরনের শাস্তির প্রস্তাব করেছে।
ইউরোপে আশ্রয়ের অধিকার নেই এমন লোকজনকে আরও বেশি সংখ্যায় নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উপায় এবং এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা না করা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রীরা।

যেসব দেশ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়, প্রায় তিন বছর আগে সেসব দেশের জন্য ভিসা সীমিত করার পদক্ষেপে ঐক্যমতে পৌঁছেছিল ২৭ জাতিরাষ্ট্রের এই জোট। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তের পর কেবল আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে শাস্তি দেওয়া হয়।

এবার ইরাক, সেনেগাল ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মতো একই ধরনের শাস্তির প্রস্তাব করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন। যদিও ইইউর দু’জন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢাকার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে।’

ইইউর পরিসংখ্যানব্ষিয়ক সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অবৈধ আশ্রয়প্রার্থী ফেরতের হার মোটাদাগে ২১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অভিবাসন এবং আরও অধিকসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের নেতাদের বৈঠকের দুই সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবার ইইউর অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রীদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি কোনও দেশের বিরুদ্ধে ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করে, তাহলে সেই দেশের নাগরিকরা ওই ব্লকে প্রবেশের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পান না, এমনকি ভিসা পাওয়ার জন্য দীর্ঘসময়ের অপেক্ষার মুখোমুখিও হওয়া লাগতে পারে।

অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যরা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অনিয়মিত মুসলিম অভিবাসনের বিরুদ্ধে জোরেশোরে প্রতিবাদ করছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবস্থান নিয়েছে জার্মানি। দেশটি ব্লকের বাইরের কর্মীদের জন্য তাদের চাকরির বাজার উন্মুক্ত করতে চাইছে।

পাঠকের মতামত