
শাহজালাল বাবলুর স্ত্রী শারমিন হিমু কয়েক মাস ধরে স্বনামধন্য গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আরিফা মেহের রুমির কাছে গর্ভবতী চেকআপ করতেন এবং মোবাইল ও whatsapp এ নিয়মিত চিকিৎসা নিতেন। গত ২৮ শে মে প্রসব ব্যথা শুরু হলে তারা ডাক্তার রুমির কাছে না এসে মিটাছড়ি হোপ হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির জন্য চেষ্টা করেন। ভোর পাঁচটার দিকে শাহজাহান বাবলু ফোন দেন ডাক্তার রুমিকে। এত রাতেও তিনি আন্তরিকতার সাথে ফোন রিসিভ করেন। তিনি তখন হাসপাতাল অবস্থান করছিলেন এবং দ্রুত আসতে বলেন। অথচ রোগী তৎক্ষণাৎ না এসে আরো কিছুক্ষণ নরমাল ডেলিভারির জন্য চেষ্টা করে । ততক্ষণে ডাক্তার রুমি অন্য একটি জটিল অপারেশন শেষ করে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বাড়ি ফিরে আসেন। শাহজালাল বাবলুর স্ত্রী যখন হাসপাতালে আসেন ততক্ষণে বাচ্চা জরায়ুর মুখে চলে এসেছে। ওই অবস্থায় একজন রোগীকে সিজারিয়ান সেকশন করা সম্ভব নয়। সেদিন সকালে ডাক্তার রুমি আবার বাড়ি থেকে এসে রোগীর চিকিৎসা প্রদান করেন। লেবার রুমের উন্নত ট্রেনিং প্রাপ্ত মিডওয়াইফ এবং ডিউটিরত চিকিৎসকের সহায়তায় বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়।ডাক্তার রুমি নিজেই রোগীর Episiotomy সেলাই করেন।
এত সহযোগিতার পরেও শাহজালাল বাবলু ফেসবুকে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যাচার ছড়িয়েছেন।
এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ডাক্তার রুমি বলেন গত ২৮ শে মে হোপ হাসপাতাল থেকে নরমাল ডেলিভারি করাতে না পেরে ফজরের সময় শাহজালাল বাবলু আমাকে ফোন করেন।আমি তৎক্ষণাৎ ফোন রিসিভ করি এবং তাদেরকে হসপিটালে চলে আসতে বলি। যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে এবং ফোন রিসিভ করে না তখন রোগীর বিপদের কথা চিন্তা করে তার ফোন ধরাটাই ছিল আমার অপরাধ।
তার গর্ভাবস্থার বাচ্চার পজিশন ভালো থাকায় আমরা শুরু থেকে নরমাল ডেলিভারির কথা বলে আসছিলাম। কিন্তু ব্যথা উঠলে তারা আমার কাছে না এসে মিঠাছড়ি হোপ হাসপাতালে হসপিটালে চিকিৎসা নেয়।পরে ব্যর্থ হয়ে তারা আমাকে ফোন দেয় এবং আমি তৎক্ষণাৎ হসপিটালে চলে আসতে বলি।
আমি দীর্ঘক্ষন তার জন্য অপেক্ষা করে তারা না আসায় বাসায় চলে আসি। তারা যখন হাসপাতালে ভর্তি হয় ততক্ষণে বাচ্চা জরায়ের মুখের কাছে চলে এসেছে। ওই অবস্থায় একজন রোগীকে সিজার করা বরং খারাপ। লেবার রুমের উন্নত মিডওয়াইফ এবং ডিউটি ডক্টরের সহায়তায় বাচ্চার নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়।
আমি নিজে গিয়ে রোগীর পেরিনিয়াম সেলাই সম্পন্ন করি। দীর্ঘক্ষণ বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি চেষ্টা করায় ডেলিভারির পর পরই বাচ্চাকে স্ক্যানুতে পাঠানো হয়। আমি সেখানে ডিউটিরত ডক্টর এবং শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলি। আমি নিজে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা সেবা প্রদান করি। অথচ আজকে দীর্ঘ ২৩ দিন পর শাহজালাল বাবলু আমাকে নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট ও মিথ্যাচার করে আমার সম্মানহানি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য রোগীদের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং দূরত্ব বিবেচনায় আমি নিজেই রোগীদের জন্য একটি নাম্বার ব্যবহার করি এবং বিনামূল্যে রোগীদের কে সেবা প্রদান করে আসছি।
আমি উখিয়ার মেয়ে এবং দীর্ঘদিন যাবত উখিয়ার মানুষকে সেবা প্রদান করে আসছি। আমার সফলতায় ঈষানিত হয়ে কিংবা না বুঝে অনেকেই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি। একইভাবে আমার অবস্থান থেকে আমি রোগীদের চিকিৎসা সেবায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
পাঠকের মতামত