নিউজ ডেস্ক::
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ব্যালট কেড়ে নিয়ে সিল মারার ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানালেও কোনো পদক্ষেপ পাননি বলে জানিয়েছেন ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার দিদারুল ইসলাম।
সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত হলে নির্বাচন কমিশন এবং উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। পদক্ষেপের অভাবে এরপরও দেড় ঘন্টায় নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় চারশতাধিক ব্যালটে সিল মারা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই প্রিজাইডিং অফিসার জানান, ‘১২ টা ৩৫ মিনিটের দিকে যখন আমার কাছে অভিযোগ আসে এবং প্রমান পাই তখন আমি এসএমএস করে নির্বাচন কমিশনকে জানাই। এর দুই মিনিট পর আমি লিখি, “স্যার আই অ্যাম ইন প্রেসার, প্লিজ হেল্প।”কিন্তু কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বেলা ২টার দিকে র্যাব এলে তারা পালিয়ে যায়।’
দুপুর সোয়া ২টার দিকে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু ভোট কেন্দ্র ছিলো একেবারেই ফাঁকা।
গোবিবন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই কেন্দ্রে প্রায় ২০২০টি ভোট রয়েছে। দুপুর আড়াইটার মধ্যে সেখানে ১ হাজার ৫০০ ভোট কাস্ট হয়ে গেছে বলে জানান দিদারুল। মোট ৫টি বুথে ভোট নেয়া হচ্ছিল।
কেন্দ্রের একটি বুথের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কাজী সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, তার বুথে বৈধভাবে ২২৫টি ভোট পড়েছে। আর বাকি ৮০টির মতো ভোট অবৈধভাবে পড়েছে।
তিনি জানান, দুপুরের দিকে ৮-১০জনের একটি গ্রুপ ভোটার বেশে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বই কেড়ে নিয়ে সিল মারতে শুরু করেন। বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানালেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
প্রিজাইডিং অফিসার দিদারুল ইসলাম জানান, ‘সে হিসেবে প্রায় চার শতাধিক ভোট অবৈধভাবে পড়েছে। এখন আমি আর বড় জোর ৫০০ মতো ব্যালট দিতে পারবো।’