প্রকাশিত: ২৫/০৪/২০২২ ৩:২০ পিএম , আপডেট: ২৫/০৪/২০২২ ৩:২১ পিএম

প্রশস্ত হচ্ছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ। এ জন্য মেরিন ড্রাইভের ১.৬০ কিলোমিটার থেকে ৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণের প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। যা বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ৩০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার অংশ, ৫ দশমিক ৫ মিটার এবং রেজু খালের উপর বিদ্যমান ৩০৫ মিটার দীর্ঘ সেতু ১০ দশমিক ২৫ মিটার (দুই লেনে) প্রস্থে উন্নীতকরণের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন, পর্যটন শিল্পের প্রসারসহ প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় মেরিন ড্রাইভের ৩০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ এবং রেজু খালের উপর দুই-লেন বিশিষ্ট ৩০৫ মিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০২১ সালের ২০ জুন অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা । ওই সভার সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৯৩-৯৪ সালে থানা সংযোগ সড়ক হিসাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে প্রকল্পটি ৩ পর্যাযে ভাগ করা হয় যা, প্রথম পর্যায়: কলাতলী হতে ইনানী (২৪ কিলোমিটার), দ্বিতীয় পর্যায়: ইনানী হতে শিলখালী (২৪ কিলোমিটার) এবং তৃতীয় পর্যায়: শিলখালী হতে টেকনাফ (৩২ কিলোমিটার) পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলে।

সম্প্রতি তৃতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, যা আন্ত:জেলা সংযোগ সড়কের পাশাপাশি সমুদ্র পাড়ে পর্যটন বিকাশেও অবদান রাখছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের সঙ্গে ইনানী, শিলখালী এবং টেকনাফ সংযুক্ত হওয়ায় ওই অঞ্চলে পর্যটকদের যাতায়াত উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেলেও কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের প্রস্থ ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার হওয়ায যানজটের পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে।

এছাড়াও, প্রকল্প এলাকার রেজু খালের উপর নির্মিত সেতুটি এক লেনের হওয়ায় যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হয়। এই এলাকায় প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা সমুদ্র পাড় থেকে দূরবর্তী হওয়ায় পর্যটকদের মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য দেখতে অসুবিধা হয়। এসব কারণে মেরিন ড্রাইভের এক দশমিক ৬০ কিলোমিটার থেকে ৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা এবং রেজু খালের উপর নির্মিত সেতুর প্রস্থ বাড়িয়ে যথাযথ মানে উন্নীত করা জরুরি।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রমে ভূমি অধিগ্রহণ, ঠিকাদার সংস্থিত ভূমি থেকে সংগ্রহ করে মাটি ভরাট, ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ, ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট বাঁক সরলীকরণ অংশ ১০ দশমিক ৩০ মিটার, আরসিসি রিটেইনিং নির্মাণ, জিও টেক্সটাইলসহ সিসি ব্লক স্থাপন, সিসি টিভি ক্যামেরা, টেট্টাপড নির্মাণ, রোড মার্কিং, ইউটিলিটি প্রতিস্থাপন, সেতু (২ লেন ৩০৫ মিটার ১টি) এবং নিকাশ কাঠামো (এল ড্রেন) করা হবে। সুত্র: সারা বাংলা

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...