উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্থানান্তরের জন্য ভাসানচর সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এলাকাটি এখন রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য এখন শুধুমাত্র উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে ভাসানচর। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন, সেদিনই আমরা রোহিঙ্গা স্থানান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করতে পারব। আমরা সব প্রস্তুতি শেষ করেছি।
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মায়া বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা শেষ করেছি। প্রথম পর্যায়ে আমরা ২৫ হাজার রোহিঙ্গা সেখানে নিতে পারব। পর্যায়ক্রমে মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে নেওয়া হবে। এমন সংক্ষিপ্ত সময়ে ভাসানচরকে বাসোপযোগী করে তুলতে পারায় আমি নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, আপনারা সেখানে গেলে দেখতে পারবেন, জায়গাটি কী ছিল এবং কিভাবে একে বসবাসের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। তবে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এখানে রোহিঙ্গাদের বসবাসের যে আয়োজন করা হয়েছে, তার সবই অস্থায়ী। তারা মিয়ানমারের নাগরিক, তারা যেন মিয়ানমারে সম্মানের সঙ্গে ফিরে যেতে পারে, এটাই আমরা চাই।
এর আগে, সংবাদ সম্মেলনে ঘূর্ণিঝড় তিতলি নিয়ে সরকারের গৃহীত প্রস্তুতির কথা জানান ত্রাণমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানার পর তিতলি দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের জন্য এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শঙ্কার কারণ নয়। তারপরও সরকার এই ঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুনি নিয়েছে।