প্রায় তিন বছর পর দেশে আবার করোনার প্রকোপ বাড়ছে। নতুন ভেরিয়েন্ট ধরা পড়ায় প্রায় পাঁচ বছর আগে বিশ্বকে থমকে দেওয়া ভাইরাসটি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ফলে দেশের হাসপাতালগুলোতে আবার করোনাভাইরাসের পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে বলে জানান তিনি।
করোনা নিয়ে নতুন উদ্বেগ, ভারত সফরে সতর্কতা জারি
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোয় পরীক্ষা চালু হবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনে।
২০২২ সালের পর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছিল না। তবে গত বৃহস্পতিবার দেশে দীর্ঘদিন পর করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই সংক্রমণের হার বাড়ছে। এতে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ নির্দেশনা
এবারে করোনার নতুন কিছু ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। থাইল্যান্ড, চীনের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও দ্রুত সংক্রমিত নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশ হয়েছে। ফলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের স্থল ও নৌবন্দরগুলোর পাশাপাশি সবকটি বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদার করা হয়েছে। ভারতসহ যেসব দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েছে, ওইসব দেশে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেখানে প্রয়োজন ছাড়া ওইসব দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।