গত ০১ জুলাই দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত উখিয়ায় গৃহবধূ ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ , স্বজনদের হামলা, ৩০ জুন বিভিন্ন অন লাইন নিউজ পোর্টালে একই শিরোনামের প্রকাশিত সংবাদ সমূহ অামার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ইহার জোর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ।
আমাকে এবং আমার ছেলেদেরকে জড়িয়ে যেসব সংবাদ ছাপানো হয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। রুনু আলমের স্ত্রী কাজল আক্তার কে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে মর্মে যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা বিন্দু মাত্র সত্য নহে । এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। এটি কাল্পনিক সাজান নাটক। উখিয়া থানার ওসি তদন্ত এবং উপ পুলিশ পরিদর্শক ঘটনাস্থলে দুই দুইবার তদন্ত করে স্বাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের নিকট জবানবন্দি কালে এ ধরনের কোন ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়নি।
আমি একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী। হিজলিয়া ষ্টেশনে কীটনাশক ও খুচরা সার ডিলারের দোকান রয়েছে। বর্তমানে আমার ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত।
জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পার্শ্ববর্তী কতিপয় লোকের সাথে আমার বিরোধ চলে আসছিল। আমাকে ঘায়েল ও হয়রানি করার জন্য প্রতিপক্ষগং নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল। ইতিপূর্বে প্রতিপক্ষ গং কালো টাকার জোরে আমার জায়গা ও বসতভিটা জোরপূর্বক জবরদখল করার চেষ্টা সহ গাছ কর্তন করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এটিও তারই অংশ। আমার সুনাম ও ছেলেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। যা খুবই দুঃখ জনক ।
বাস্তব ঘটনা হচ্ছে , গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়ির নির্মাণ কাজের জন্য নিকটবর্তী খাল হতে শ্রমিক দিয়ে কিছু বালি উত্তোলন করে স্তুপ করি। তৎমধ্যে গত ২৮ জুন রুমু অালম ও তার স্ত্রী কাজল অাক্তার কাউকে কিছু না জানিয়ে অামার স্তুপকৃত বালিগুলো লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় অামার স্ত্রী অাম্বিয়া খাতুন ছেলে মোস্তফা বালি নিতে বাঁধা দেওয়ায় রুমু অালম তার স্ত্রী কাজল অাক্তার, শাহজাহান, তারেক ও অাবুল কাশেমের স্ত্রী সাবেকুন্নাহার দা,লাঠি,বল্লাম নিয়ে এসে মোস্তফা ও অামার স্ত্রীকে বেদড়ক মারধর করতে থাকে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের কে উখিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। বিষয়টি ততক্ষণাৎ উখিয়া থানায় অবহিত করি এবং লিখিত ভাবে অভিযোগও দায়ের করা হয়। শুধু তাই নই, ঘটনার দুই দিন পূর্বে আমার মেয়ের বিবাহের দিনে উচ্চ স্বরে এম বাজিয়ে গান বাজনা করে পরিবেশ বিনষ্ট করেছিন।
মূলত বাস্তব ঘটনাকে আড়াল করার জন্য কাজল আক্তার কে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর করা হয়েছে মর্মে মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় স্বামী রুমু আলম একটি অভিযোগ দায়ের করে। গত ৪ জুলাই উখিয়া থানা ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম মজুমদার ও ৩০ জুন সাব ইন্সপেক্টর নন্দন দুলাল মল্লিক দুই দুইবার সরেজমিন তদন্ত করে ধর্ষণের চেষ্টার কোনো ঘটনার প্রমাণ পায়নি । এসময় স্থানীয় মেম্বার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকালে ওসি তদন্ত বলেন, এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা। এটিকে বড় ঘটনার রুপ না দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করার জন্য রুমু আলম গংকে কে পরামর্শ দেন।
পরিশেষে প্রকাশিত এহেন মিথ্যা সংবাদের জোর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি ভিত্তিহীন সংবাদ পড়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রইল।
প্রতিবাদকারী
আবু বক্কর ছিদ্দিক
পিতা-মোঃ হোছাইন
সাং- পূর্ব খাল কাচা, তুতুরবিল
রাজা পালং , উখিয়া ।