পোশাকের ভাঁজে ইয়াবা রেখে পাচারের চেষ্টায় দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ইয়াবার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা
পোশাকের ভাঁজে ইয়াবা রেখে পাচারের চেষ্টায় দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ইয়াবার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকাছবি: বিজিবির সৌজন্যে
কক্সবাজারের রামুতে দুই নারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে কক্সবাজার-টেকনাফের আঞ্চলিক সড়কে মরিচ্চ্যা এলাকায় যৌথ বাহিনীর তল্লাশিচৌকি থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, ওই দুই নারী বোরকার নিচে একটি পোশাকের ভাঁজে এসব ইয়াবা লুকিয়ে রেখেছিলেন। তাঁরা এসব ইয়াবা কক্সবাজারে পাচারের চেষ্টা করেছিলেন।
গ্রেপ্তার দুই নারী হলেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুলাতলী গ্রামের মোকতার আহম্মদের স্ত্রী তৈয়বা আক্তার (৩৯) ও কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং এক নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের নূর আলমের স্ত্রী দিলবার খাতুন (৩২)।
বিজিবি সূত্র জানায়, ইয়াবা চালানের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে বিজিবির রামু-৩০ ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহলদল ওই তল্লাশিচৌকিতে ছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁরা সন্দেহজনক একটি ইজিবাইককে সংকেত দেন। পরে ওই ইজিবাইকে থাকা দুই নারীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাঁদের নামিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তাঁরা কিছু স্বীকার করেননি। পরে তাঁদের তল্লাশি করে বোরকার ভেতরে একটি পোশাকের ভাঁজের ভেতর ২৫ হাজার করে ইয়াবা পাওয়া যায়। এসব ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক দেড় কোটি টাকা।
রামু-৩০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে রামু পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
লে. কর্নেল কাজী মাহতাব উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন অভিযানে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৩ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। এসব ইয়াবার বাজারমূল্য ৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৭ জন বাংলাদেশি পুরুষ আর ২৭ জন রোহিঙ্গা পুরুষ। আর বাকি ৪৯ জনের মধ্যে ২৪ জন বাংলাদেশি নারী আর ২৫ জন রোহিঙ্গা নারী।